Mithun Chakraborty: মিঠুন চক্রবর্তীকে পাড়ার গুলবাজ 'কাল্টুদা' বলে তীব্র আক্রমণ করল 'জাগো বাংলা'!
পশ্চিমবঙ্গে প্রচার চলাকালিন অসুস্থ হয়ে পরেন মিঠুন চক্রবর্তি। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে লেখা হয়েছে বহু দফায় নির্বাচন এবং বিজেপির বিভিন্ন নেতার পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণের পরেও হেরে জায় বিজেপি এবং এরপর থেকে সেই সব নেতা করমি সহ মিঠুন চক্রবর্তি, কাউকেই আর দেখা যায়নি রাজ্যে। মিঠুন চক্রবর্তীকে সরাসরি আক্রমণ করে প্রশ্ন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে তিনি ‘ফাটাকেষ্টর সেট’ মনে করেন কিনা। সেখানে আর বলা হয়েছে যে মিঠুন চক্রবর্তি মিথ্যা কথা বলা অভ্যাস করে ফেলেছেন। সেখানে আর বলা হয়েছে যে কিছুদিন পরে তাঁর কথা আর কেউ বিশ্বাস করবে না।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের শিরোনামে মিঠুন চক্রবর্তী। এবার জাগোবাংলার সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে সরাসরি আক্রমণ মিথুন চক্রবর্তীকে। বুধবার কলকাতায় আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতায় এসে বিজেপির হেস্টিংস অফিসে যান তিনি সেখানে বৈঠক করেই সাংবাদিক সম্মেলনে আক্রমণ করেন তৃণমূলকে। বিভিন্ন তৃণমূল বিধায়ক এবং নেতারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করেন মহাগুরু। এবার এর বিরুদ্ধেই মুখ খুলল তৃণমূল। পাড়ার দাদা বলে আক্রমণ করা হল মিঠুন চক্রবর্তীকে।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে রাজ্যে প্রচারে আসেন মিঠুন চক্রবর্তি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার চালিয়ে তিনি বলেন যে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে তাঁর মনে হয়েছে যে সেই নির্বাচনে বিজেপি জিতবে। সেই কথা মনে করিয়ে জাগোবাংলায় লেখা হয়েছে, একুশের বিধানসভা ভোটের সময় তিনি ভাড়াটে সৈন্য হয়ে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে মিথুন চক্রবর্তীর ভ্রান্ত ধারণা ছিল যে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার সিনেমার মতনই হবে এবং তিনি যা বলবেন তাই হবে। সেখানে আরও বলা হয়েছে যে তার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে নিজের এবং তাঁর ছেলের ব্যবসা বাঁচাতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুরি মেরেছেন এবং বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যদিও সেখানে আরও বলা হয়েছে যে বিজেপিতে যোগ দিলেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ‘মসিহা’ হওয়া যাবে না।
পশ্চিমবঙ্গে প্রচার চলাকালিন অসুস্থ হয়ে পরেন মিঠুন চক্রবর্তি। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে লেখা হয়েছে বহু দফায় নির্বাচন এবং বিজেপির বিভিন্ন নেতার পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণের পরেও হেরে জায় বিজেপি এবং এরপর থেকে সেই সব নেতা করমি সহ মিঠুন চক্রবর্তি, কাউকেই আর দেখা যায়নি রাজ্যে।
মিঠুন চক্রবর্তীকে সরাসরি আক্রমণ করে প্রশ্ন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে তিনি ‘ফাটাকেষ্টর সেট’ মনে করেন কিনা। সেখানে আর বলা হয়েছে যে মিঠুন চক্রবর্তি মিথ্যা কথা বলা অভ্যাস করে ফেলেছেন। সেখানে আর বলা হয়েছে যে কিছুদিন পরে তাঁর কথা আর কেউ বিশ্বাস করবে না।
আরও পড়ুন: Pulwama Jawan: পুলওয়ামায় বুলেটে বিঁধেছিল শিরদাঁড়ায়, প্রাপ্য আদায়ে হাইকোর্টে সিআরপিএফ জওয়ান
বুধবার হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে যান মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নরমে-গরমে রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের সমালোচনা করেন 'মহাগুরু'। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। সেই প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, "দুর্নীতির প্রামাণ না থাকলে ঘুমিয়ে থাকুন। প্রমাণ থাকলে কেউ বাঁচাতে পারবে না।" একই সঙ্গে অভিনেতার পাল্টা চ্যালেঞ্জ, "আগামিকাল স্বচ্ছ ভোট হলে এ রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।"
এরপরেই পাল্টা সুর চড়ায় তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের ব্ল্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, সারদার সুবিধাভোগী। কীসের টাকা ফেরত দিয়েছেন? যতদিন রাজ্য সরকারের হাতে তদন্ত ছিল, ততদিন এক পয়সাও ফেরত দেননি। যেদিন ইডি কলার ধরেছে, সেদিন টাকা ফেরত দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী'। তাঁর দাবি, ওঁর তো অ্যারেস্ট হওয়া উচিত। অ্যালকেমিস্টের মামলাতেই অ্য়ারেস্ট হওয়া উচিত'।