মৃতদেহের হদিস নেই মেডিক্যালে, কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছে পরিবার

সবমিলিয়ে চরম হয়রানির শিকার রোগীর পরিবার। মিলছে না দেহের হদিস। শেষমে, সুপারের অফিসে লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন মৃতের পরিবার। 

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Edited By: Priyanka Dutta | Updated By: Sep 14, 2020, 06:52 PM IST
মৃতদেহের হদিস নেই মেডিক্যালে, কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছে পরিবার
নিজস্ব চিত্র

তন্ময় প্রামাণিক: প্রায় দু-মাস কেটে গিয়েছে। অথচ মৃতদেহের কোনও হদিস নেই। দেহ কোথায়? মর্গে পড়ে? নাকি দাহ হয়ে গিয়েছে জানে না কেউ। মেলেনি ডেথ সার্টিফিকেটও। অভিযোগ, থানা, হাসপাতাল থেকে করোনা মৃতদেহ দাহ করার শ্মশান সর্বত্র হন্যে হয়ে ঘুরেও কোনও তথ্য পাচ্ছেন না মৃতের পরিবার। আবারও নজিরবিহীন হয়রানির অভিযোগ উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগকারী পরিবার জানাচ্ছে, গত ১৭ জুলাই মেডিক্যালে আনা হয় এয়ারপোর্ট দু-নম্বর গেটের বাসিন্দা ৫৪ বছরের প্রশান্ত ঘোষকে। মৃত্যু হয় তাঁর। তারপরেই কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় গোটা পরিবারকে। তাঁদের দাবি কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে আর হদিস মেলেনি প্রশান্ত ঘোষের দেহের। 

মৃতের ভাই বলছেন, "দাদার করোনা হয়েছিল। ১৭ জুলাই কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলাম। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, রাস্তাতেই মৃত্যু হয়েছে দাদার। দেহ রেখে আমাদের পরিবারকে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পর আমরা খোঁজ করতে শুরু করি দাদার দেহ দাহ হয়েছে কিনা, পাশাপাশি ডেথ সার্টিফিকেট চাই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁরা বলেন ধাপার মাঠ থেকে তথ্য নিয়ে আসতে। সেখানে গিয়ে আমরা খোঁজ করে জানতে পারি এই নামে কোনও করোনা আক্রান্তের মৃত দেহ দাহ হয়নি।" 

আরও পড়ুন: হিসেব কষেই কি হিন্দি! একুশের ভোটের আগে হিন্দি সেল তৈরি করল তৃণমূল

পরিবারের দাবি এরপর থেকেই শুরু হয় হয়রানি। বউবাজার থানায় অভিযোগ জানাতে যায় প্রশান্ত ঘোষের পরিবার, সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হয় মেডিক্য়ালে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে তাঁরা ওয়ার্ড  মাস্টারের কাছে পাঠান রোগীর পরিবারকে, সেখান থেকে রেকর্ডরুমে। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও তথ্যই মেলেনি। সুপারের অফিসে গিয়ে লিখিত আবেদন করতে।

সবমিলিয়ে চরম হয়রানির শিকার রোগীর পরিবার। মিলছে না দেহের হদিস। শেষমে, সুপারের অফিসে লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন মৃতের পরিবার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানান, "লিখিত আবেদন পেলে গোটা বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হবে। এরপরই বাকিটা বলা সম্ভব হবে।"

.