Kolkata High Court: নজিরবিহীন যুদ্ধে দুই বিচারপতি! সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এসএসসি উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার সম্পত্তির হিসেব বিষয়ে তার দেওয়া নির্দেশের বিপরিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে সিল খাম খোলা যাবে না। এই বিষয়েও তিনি বলেন যে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল যাতে তা সবাই দেখতে পায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার দেশের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের আর্জি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। নজিরবিহীন এই বক্তব্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
"কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেধে দিচ্ছে?" লিখিতভাবে এই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরেই প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করে, গত দুইমাসে নিয়োগ দুর্নীতিতে তার দেওয়া চারটি সিবিআই অনুসন্ধানের মামলার নথি এবং সেইগুলিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেশের প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি গঙ্গপাধ্যায়ের বক্তব্য, "দেশ দেখুক, বিচার করুক বেআইনি চাকরি দেওয়া নিয়ে কি চলছে"। তিনি আরও বলেন এক আইনজীবীর মন্তব্য যেখানে সেই আইনজীবী বলেন, 'কথা হয়ে গেছে, স্টে হয়ে যাবে', এই বক্তব্যের রেকর্ডিং ভার্চুয়াল শুনানির রেকর্ড থেকে বের করে এই বিষয়টির বিচার করা হোক এই দাবিও তুলেছেন তিনি। কারণ এরপরেই মামলায় স্টে অর্ডার চলে আসে।
আরও পড়ুন: Bruno Missing Case: হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে নিজের ঘরে ফিরছে ব্রুনো
একইসঙ্গে লিখিত প্রশাসনিক নির্দেশে তিনি জানিয়েছেন, তার কাছে মঙ্গলবার এক আইনজীবী এসে এই সব মামলার বিষয়ে এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের হয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন ওই আইনজীবির কাছে তিনি হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন যেন তাকে মাফ করা হয়।
এসএসসি উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার সম্পত্তির হিসেব বিষয়ে তার দেওয়া নির্দেশের বিপরিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে সিল খাম খোলা যাবে না। এই বিষয়েও তিনি বলেন যে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল যাতে তা সবাই দেখতে পায়। কেন বিচারপতি একা দেখবেন এমন নির্দেশ দেওয়া হল তাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি।