Tarun Majumdar: ২ ফুসফুসেই সংক্রমণ, মূত্রের পরিমাণও কমেছে, এখনও সঙ্কটজনক তরুণ মজুমদার
জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যে তাঁর এনকেফেলোপ্যাথি করা হচ্ছে। স্বস্তির বিষয় হল, ওষুধ দিয়ে তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: এখনও সঙ্কটজনক অবস্থাতেই রয়েছেন তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরিচালকের দু’টি ফুসফুসেই সংক্রমণ রয়েছে। মূত্রের পরিমাণ কমেছে। তবে এখনও সচেতন রয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যে তাঁর ব্রেন এনকেফেলোপ্যাথি হচ্ছে (মস্তিষ্কের কার্যক্রিয়ার অবনতি)। স্বস্তির বিষয় হল, ওষুধ দিয়ে তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। সোমবার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা ফের পরিচালককে দেখবেন। রবিবার বিকেলে তরুণ মজুমদারকে দেখতে হাসপাতালে যান কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
রবিবার সকালেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, তরুণবাবুর সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়েছে, তাঁর ডায়ালিসিস চলছে বলেও জানানো হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, হঠাৎ-ই সেকেন্ডারি ইনফেকশন হওয়ায় পরিচালকের স্বাস্থ্য়ের অবনতি হয়। গত শুক্রবার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা বর্ষীয়ান পরিচালককে যখন দেখেছিলেন, তখনও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল। শনিবার থেকে ফের তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শুক্রবার পরিচালকের এন্ডোসকপি (Endoscopy) হয়। সেদিন পরিচালকের রক্তচাপ নীচের দিকে ছিল বলে জানা গিয়েছিল। পরিচালকের প্লেটলেট কাউন্ট বেড়েছিল বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত গত ২২ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন পরিচালক। গত সপ্তাহে মূলত কিডনির সমস্যা নিয়েই SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। কিডনির সমস্যা ছাড়াও বর্ষীয়ান পরিচালকের ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে, হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার মত পরিস্থিতিও তৈরি হয়। চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক বিমান রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।