Tapan Dutta Murder Case: তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে অভিযুক্ত
আদলতের সন্দেহ এই খুনের পিছনে শত্রুতা এবং ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। নিহত ব্যক্তি একটা বড় আর্থিক অথবা রাজনৈতিক ফায়দা আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: তপন দত্ত (Tapan Dutta) খুনের মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্ত নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। ৯ জুন সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার মামলা গড়াল ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হল মামলা। তপন দত্ত খুনের মামলায় অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন মামলাটি করেছেন। উল্লেখ্য, তপন দত্ত খুনের চার্জশিটে নাম রয়েছে এই ষষ্ঠী গায়েনের।
তপন দত্ত খুনের মামলায় বিচারে দেরির জন্য আদালত রাজ্য সরকার ও অভিযুক্তদেরই কাঠগড়ায় তুলেছে। এই দুপক্ষই এই দেরির জন্য দায়ী বলে মত আদালতের। বিস্তারিত শুনানির পর আদলতের সন্দেহ এই খুনের পিছনে শত্রুতা এবং ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। নিহত ব্যক্তি একটা বড় আর্থিক অথবা রাজনৈতিক ফায়দা আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। যাঁদের পথে তিনি কাঁটা হয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং তাঁদের প্রভাব যথেষ্ট। সে কারণেই স্বচ্ছ এবং কার্যকর তদন্ত প্রয়োজন।
আদালতের মতে, এই খুনের পিছনে প্রভাবশালীদের হাত খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে পুলিস এবং তদন্তকারী সংস্থার ওপর প্রবল চাপ ছিল। আর তাই কিছু লোকের পৈশাচিক কার্যকলাপ প্রকাশ্যে আনা যায়নি। তাই এই খুনের সঠিক তদন্ত ও বিচারের জন্য নতুন এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন। যা মৃতের পরিবার এবং নাগরিক সমাজকে ভরসা জোগাতে পারবে। সেই কারণেই আদালত এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদি প্রয়োজন হয়, সিবিআই নতুন করে তদন্ত করবে।
মামলার আবেদনে বিচার প্রক্রিয়ায় এজেন্সি বদলের আবেদন না থাকলেও 'অন্য কোনও স্বস্তি' দেওয়ার আবেদন ছিল। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিচার প্রক্রিয়ার পরিচালনা দায়িত্বও সিবিআইকে দেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে সিআইডিকে নির্দেশ দেয়, মামলার যাবতীয় নথি এমনকি যা শুনানিতে আদালতকেও দেওয়া হয়নি, সেইসব নথি সিবিআইয়ের তুলে দিতে হবে। পাশাপাশি, আগামী ৬ মাসের মধ্যে ট্রায়াল শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, Asish Banerjee: 'সৎ হওয়ার পরামর্শ দিতে পারব না', কর্মিসভার 'স্বীকারোক্তি' তৃণমূল বিধায়কের