আবাসন মন্ত্রীর নেতৃত্বেই চলছে সিন্ডিকেট ব্যবসা
গত বছরের শেষ দিকে বাগুইআটিতে স্বপন মন্ডল খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে আসে রাজারহাটে সিন্ডিকেটের রমরমা। সামনে আসে কীভাবে সিন্ডিকেটের রাজের জেরে জেরবার হচ্ছে শহরের ছোট-বড় রিয়েল এস্টেট কারবারি এবং প্রোমোটাররা।
গত বছরের শেষের দিকে বাগুইআটিতে স্বপন মন্ডল খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে আসে রাজারহাটে সিন্ডিকেটের রমরমা। সামনে আসে কীভাবে সিন্ডিকেটের রাজের জেরে জেরবার হচ্ছে শহরের ছোট-বড় রিয়েল এস্টেট কারবারি এবং প্রোমোটাররা। শুধু রাজারহাট এলাকাতেই নয় সম্প্রতি সিন্ডিকেট ব্যবসার একই রকম দাপট সামনে এসেছে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এলাকা নিউ আলিপুরেও।
প্রোমোটাররা বলছেন, নিউ আলিপুরের সিন্ডিকেট সিস্টেমের মাথায় বসে রয়েছেন ২ জন। স্বয়ংআবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর ভাই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা স্বরূপ বিশ্বাস। নিউ আলিপুরের সিন্ডিকেট ব্যবস্থার পুরোটাই নিয়ন্ত্রিত হয় এই ২ ব্যক্তির দ্বারা। স্থানীয় এক প্রোমোটারের মতে, ডেভেলপমেন্ট লাইনে কাজকর্ম নিতে গেল প্রথমেই সম্মুখীন হতে হয় স্বরূপ বিশ্বাসের। নিউ আলিপুর এলাকায় কাজ পেতে হলে স্বরূপ বিশ্বাসকে মোটা অঙ্কের টাকা না দিলে কাজ পাওয়া অসম্ভব। দাবি মতো টাকা দিয়ে দিলে এবং নিজেদের সিন্ডিকেটের লোকজনকে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের বরাত দিলে কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু এর অন্যথা হলেই বিপদ। যারপরনাই হেনস্থার শিকার হন প্রোমোটাররা।
নিউ আলিপুরের এ ব্লকের সিন্ডিকেটের পাণ্ডা কারিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী স্বরূপ বিশ্বাসের কড়া নির্দেশ থাকে প্রোমোটার এলেই জলের লাইন কেটে দেওয়ার। আর তারপর জলের লাইনের জন্যই দাবি করা হয় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। স্বরূপের মতো প্রকাশ্যে না এলেও, নিউ আলিপুরের সিন্ডিকেট সিস্টেমের অনেকাই অরূপ বিশ্বাসের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে অভিযোগ। কোন এলাকার সিন্ডিকেট কে সামলাবে, তা মন্ত্রীমশাই ঠিক করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খোদ সিন্ডিকেটের দাদারাই।
নিউ আলিপুরের এ ব্লকে সিণ্ডিকেটের পাণ্ডা -কারিয়া
জে ব্লকের দায়িত্বে অশ্বিনী
এম, এন, ও এবং পি ব্লকে সিন্ডিকেটের দাদা রাজু চক্রবর্তী ও শিবু দাস। ও এবং পি ব্লকে রাজু,শিবুর কাজ দেখাশোনার দায়িত্ব বুয়া ও রতনের ওপর
এরা সকলেই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। আর তাই সিন্ডিকেটের জুলুমের বিষয়ে পুলিসকে জানিয়ে কোনও দিন, কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ আতঙ্কিত প্রোমোটারদের। অরূপবাবু আবাসন দফতরের দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর প্রোমোটারদের এই আতঙ্ক বেড়ে গেছে আরও কয়েকগুণ।