চলে গেলেন `অলীক মানুষ`

প্রয়াত হলেন সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত সমস্যার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন ধরে অন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মাসখানেক আগে একবার অস্ত্রোপচার হয় তাঁর।

Updated By: Sep 4, 2012, 02:33 PM IST

প্রয়াত হলেন সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত সমস্যার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন ধরে অন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মাসখানেক আগে একবার অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। গত বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
১৯৩০ সালে মুর্শিদাবাদের খোশবাসপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই বোহেমিয়ান জীবনযাপনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন সৈয়দ মুস্তাফ সিরাজ। লোকনাট্য দল আলকাপ-এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন তিনি। সেই সঙ্গেই ভালোবাসতেন বাঁশি বাজাতে। তাঁর ৮২ বছরের দীর্ঘ জীবনে প্রায় দেড়শোরও বেশি উপন্যাসের পাশাপাশি রচনা করছেন ৩০০টি ছোটগল্পও। তাঁর লেখা ছোটগল্পগুলির মধ্যে বিখ্যাত `ইন্তি, পিসি ও ঘাটবাবু`, `রণভূমি`, `ভালবাসা ও ডাউন ট্রেন`, `রক্তের প্রত্যাশা`, `হিজল বিলের রাখালেরা`, `মাটি`, `তরঙ্গিনীর চোখ`, `গোঘ্ন`, `উড়ো পাখির ছায়া`, `মৃত্যুর ঘোড়া`, `মানুষের জন্ম` প্রভৃতি৷ তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস নীলঘরের নটী। পরবর্তী উপন্যাসগুলির মধ্যে তৃণভূমি, অলীক মানুষ, উত্তর জাহ্নবী বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে বাঙালি পাঠকদের মনে। তাঁর সৃষ্ট বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র গোয়েন্দা কর্নেলের মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছিলেন কিশোর মনেও। তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ভূষিত হয়েছেন বহু পুরস্কারেও। আনন্দ পুরস্কার, বঙ্কিম পুরস্কার, সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার, নরসিংহদাস পুরস্কার তার মধ্যে অন্যতম। ২০১১ সালে ২৪ ঘণ্টা অনন্য সম্মানে ভূষিত করেছিল তাঁকে।
সিরাজের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মুর্শিদাবাদের নিজের গ্রামে সমাহিত করা হয় তাঁকে। প্রখ্যাত এই লেখকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার সাহিত্যিকমহলে।

.