কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরানো হোক নন্দীগ্রাম মামলা, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন Suvendu-র
নন্দীগ্রাম মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রাম মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বদলের আর্জি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেঞ্চ বদলও হয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মামলা সরানোর আর্জিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
নন্দীগ্রামের ভোট সংক্রান্ত ইভিএম, ভিভিপ্যাট, গণনাকেন্দ্রের ভিডিয়োগ্রাফি-সহ যাবতীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করে রাখতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নন্দীগ্রাম মামলায় বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মামলার বিবাদী পক্ষ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম মামলার (Nandigram) পূর্ববর্তী বিচারপতি কৌশিক চন্দের রায়ের উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতার আর্জি,'মামলাটি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে দেশের অন্য কোনও হাইকোর্টে সরানো হোক।'
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের শুরু থেকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। ভোটগণনার দিন কখনও এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু কখনও মমতা (Mamata Banerjee)। একটা সময় সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করে, ১২০০ ভোটে জিতে গিয়েছেন মমতা। যদিও রিটার্নিং অফিসার পরে জানান, ১৯৫৬ ভোটে মমতাকে হারিয়েছেন শুভেন্দু। ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ করে আদালতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনী পিটিশন দাখিল করেন কলকাতা হাইকোর্টে। ওই মামলায় প্রথমে বিচারপতি ছিলেন কৌশিক চন্দ। তাঁর সঙ্গে বিজেপি যোগ রয়েছে বলে মামলা সরানোর আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নন্দীগ্রাম মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি চন্দ। একইসঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার মামলাটি যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে।
আরও পড়ুন- রাজ্যে বিধিনিষেধ বাড়ল ৩০ জুলাই পর্যন্ত, বন্ধই থাকছে লোকাল, চালু হচ্ছে মেট্রো