সিবিআই চার্জশিটে যাদের নাম আছে তারা সবাই তৃণমূলের, বললেন সূর্যকান্ত
নন্দীগ্রাম কাণ্ডে তত্কালীন বামফ্রন্ট সরকারের উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছিল। অভিযোগ বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর। সূর্যকান্ত মিশ্রর বক্তব্য, সিবিআইয়ের চার্জশিটেই পরিষ্কার, নন্দীগ্রামে পুলিসের গুলি চালনা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করেছিলেন তত্কালীন বিরোধীরা।
নন্দীগ্রাম কাণ্ডে তত্কালীন বামফ্রন্ট সরকারের উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছিল। অভিযোগ বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর। সূর্যকান্ত মিশ্রর বক্তব্য, সিবিআইয়ের চার্জশিটেই পরিষ্কার, নন্দীগ্রামে পুলিসের গুলি চালনা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করেছিলেন তত্কালীন বিরোধীরা।
২৪ ঘণ্টায় সিবিআই চার্জশিটের খবর সম্প্রচারের পর সূর্যকান্ত বলেন, "নন্দীগ্রামে গুলিতে ৮জনের মৃত্যু গুলিতে হয়েছিল। ৪ জনের মৃত্যু ধারাল অস্ত্রে হয়েছে। বেআইনি জমায়েতের হাতে তাদের মৃত্যু হয় এ কথা সিবিআই রিপোর্টে স্পষ্ট। নন্দীগ্রাম নিয়ে মিথ্যা প্রচার হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অসত্য কথা বলছেন। একজনও নিখোঁজ হননি। মিথ্যাপ্রচারে নন্দীগ্রামের সর্বনাশ হয়েছে। সিবিআই-এর নতুন চার্জশিটে যাদের নাম আছে, তারা সবাই তৃণমূলের।"
সিবিআই রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পুলিস গিয়েছিল রাস্তা সারাই করতে। জানুয়ারি মাসে যে রাস্তা কেটে দেয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির লোকেরা। ভাঙা বেড়া সেতু দিয়ে ঢোকার কথা ছিল পুলিসের। রিপোর্টে বলা হয়েছে সেতুর অপর প্রান্তে ৫ হাজার সশস্ত্র লোকের জমায়েত করেছিল প্রতিরোধ কমিটি। এরপরই প্রথমে আক্রমণ করা হয় পুলিসকে। আক্রান্ত হয়েই গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিস। প্রথমে আক্রমণ প্রতিরোধে লাঠি ও ঢালধারী পুলিস পাঠানো হয়। এরপর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিস। তাতেও কাজ না হওয়ায় প্রথমে ৫১ রাউন্ড রবার বুলেটের পর শূন্যে গুলি চলে। এরপর হয় টার্গেট ফায়ারিং।