লাভপুর কাণ্ড: রাজ্য প্রশাসনের ওপর আস্থা না রেখে বিচারবিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট চাইল শীর্ষ আদালত, ধৃত ১৩ জনের পুলিসি হেফাজত
লাভপুর গণধর্ষণকাণ্ডে শুধুমাত্র রাজ্য প্রশাসনের রিপোর্টের ওপর আস্থা রাখছে না দেশের শীর্ষ আদালত। চাওয়া হয়েছে বিচারবিভাগীয় রিপোর্টও। সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে এ রাজ্যের কোনও ঘটনায় নজিরবিহীনভাবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্ট। জেলা জজকে ঘটনাস্থলে গিয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে রিপোর্ট।
লাভপুর গণধর্ষণকাণ্ডে শুধুমাত্র রাজ্য প্রশাসনের রিপোর্টের ওপর আস্থা রাখছে না দেশের শীর্ষ আদালত। চাওয়া হয়েছে বিচারবিভাগীয় রিপোর্টও। সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে এ রাজ্যের কোনও ঘটনায় নজিরবিহীনভাবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্ট। জেলা জজকে ঘটনাস্থলে গিয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে রিপোর্ট।
সালিশি সভার নির্দেশে আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণ। আর সেই ঘটনায় প্রশাসনিক উদাসীনতার ছবিটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। শুক্রবার নজিরবিহীনভাবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে সে বিষয়টিই আরও স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের পক্ষে যা চরম অস্বস্তির। সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। রাজ্য প্রশাসনের ওপর আস্থা না রেখে জেলা জজকে ঘটনাস্থলে গিয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমের বেঞ্চ।
অর্থাত্ এই দুটি রিপোর্ট আদালত মিলিয়ে দেখতে চায় বর্বরতম এই ঘটনা প্রশাসন আড়াল করতে চাইছে কিনা, বা সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা জানতেই দুটি রিপোর্ট তলব শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপে খুশি বিশিষ্ট আইনজীবীরাও। এরাজ্যের কোনও ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের এমন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা কার্যত নজিরবিহীন। এমনকি অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও সচরাচর সুপ্রিম কোর্টের এই বিশেষ ভূমিকা নজরে আসেনি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা বুঝিয়ে দেয় বীরভূমের এই ঘটনাকে বিরল অপরাধ হিসাবেই দেখছে দেশের শীর্ষ আদালত।