লাভপুর কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের, হাইরকোর্টে ধৃতদের পুলিস হেফাজতের আবেদন সরকারি আইনজীবীর, বীরভূমের নতুন এস পি অলোক রাজোরিয়া

লাভপুরকাণ্ডে স্বতপ্রণদিত মামলা দায়ের করা হল সুপ্রিম কোর্টে। এই বিষয়ে হাইকোর্টকে তদন্তের সবকরম তথ্য সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে ধুতদের পুলিস হেফাজত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী। এতবড় ঘটনার পরও ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেই চায়নি পুলিস। চব্বিশ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত হয় এই খবর। এরপরেই বীরভূমের পুলিস সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: Jan 24, 2014, 12:00 PM IST

লাভপুরকাণ্ডে স্বতপ্রণদিত মামলা দায়ের করা হল সুপ্রিম কোর্টে। এই বিষয়ে হাইকোর্টকে তদন্তের সবকরম তথ্য সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে ধুতদের পুলিস হেফাজত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী। এতবড় ঘটনার পরও ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেই চায়নি পুলিস। চব্বিশ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত হয় এই খবর। এরপরেই বীরভূমের পুলিস সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। নতুন এস পি হচ্ছেন অলোক রাজোরিয়া। তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (পশ্চিম) ছিলেন। এদিকে, চাপে পড়ে দিনের শেষে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে ফের উদ্যোগী হয় পুলিস। আইজি পশ্চিমাঞ্চলকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অস্বস্তি ঢাকতে তড়িঘড়ি বীরভূমের পুলিস সুপারকে সরানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নির্দেশের পরই সিউড়িতে পুলিস সুপারের দফতরে ছুটে আসেন আইজি পশ্চিমাঞ্চল সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফের ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালেই বীরভূমের এসপি সি সুধাকর বলেছিলেন এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে, তাদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে । সেকারণে পুলিস হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নিয়েই প্রশ্নই তুলেছিলেন তিনি। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে এই বিতর্কের মধ্যেই আড়ালে চলে যায় আরও একটি বিষয়। তেইশে জানুয়ারি বলে বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কোনও সরকারি আইনজীবী। লাভপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে সামনে এসেছে পুলিসের চূড়ান্ত গাফিলতিও। বুধবার রাতে জবানবন্দি দেন নির্যাতিতা। আর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেই জবানবন্দির সিডি-র হদিশ মিলছিল না। জানাজানি হতেই হুলুস্থুল শুরু হয়ে যায়। তদন্তকারী আইসি-কে ভর্তসনা করেন আইজি পশ্চিম়াঞ্চল। পরে খুঁজে পাওয়া গেলেও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সিউড়ি হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। আবারও নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

.