বাবার কাছে যা চাইতেন তাই পেতেন সুদীপ্ত পুত্র

মাসে হাত খরচ আট থেকে দশ লক্ষ টাকা। কাশ্মীরে হোটেল, গুজরাতে কটন মিল, পঞ্জাবে জমি, অসমে বিলাসবহুল বাংলো।সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের ছেলে শুভজিত্‍ সেনের বিষয়-সম্পত্তির ছবিটা এমনই চোখধাঁধানো। ইডির জেরায় নিজেই এই গোটা সম্পত্তির হদিশ দিয়েছেন শুভজিত। জানিয়েছেন, বাবার কাছে যা চাইতেন-তাই পেতেন। ব্যবসা সম্পর্কে কোনওকিছু জানার কথা তাঁর কোনওদিন মনেই হয়নি।  

Updated By: Sep 5, 2014, 09:19 PM IST
বাবার কাছে যা চাইতেন তাই পেতেন সুদীপ্ত পুত্র

কলকাতা: মাসে হাত খরচ আট থেকে দশ লক্ষ টাকা। কাশ্মীরে হোটেল, গুজরাতে কটন মিল, পঞ্জাবে জমি, অসমে বিলাসবহুল বাংলো।সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের ছেলে শুভজিত্‍ সেনের বিষয়-সম্পত্তির ছবিটা এমনই চোখধাঁধানো। ইডির জেরায় নিজেই এই গোটা সম্পত্তির হদিশ দিয়েছেন শুভজিত। জানিয়েছেন, বাবার কাছে যা চাইতেন-তাই পেতেন। ব্যবসা সম্পর্কে কোনওকিছু জানার কথা তাঁর কোনওদিন মনেই হয়নি।  

বাবার নামটি যখন সুদীপ্ত সেন, তখন টাকা নিয়ে কীসের চিন্তা? তাই তো, না চাইতেই কেনা হয়ে যেত কোটি কোটির সম্পত্তি। হাতে চলে আসত লক্ষ লক্ষ টাকা। ইডি-র জেরায় নিজেই এমন অনেক কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সুদীপ্ত সেনের ছেলে শুভজিত্‍ সেন। তাঁর দাবি,  সুদীপ্ত সেন হাতখরচা বাবদ তাঁকে মাসে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা দিতেন। দু-তিন বাদে বাদেই ড্রাইভারের হাতে এক লক্ষ টাকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হত।

শুধু নগদ টাকাই নয়, শুভজিতকে প্রচুর সম্পত্তিও কিনে দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। এর মধ্যে রয়েছে, কলকাতায় বেশ কয়েকটি  বার, এবং বাড়ি।  কাশ্মীরে একটি হোটেল, যার দাম এক কোটি টাকা। তার মধ্যে চল্লিশ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। গুজরাতে একটি কটন মিল। সেখানেও পঞ্চাশ শতাংশের ওপর টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন সারদাকর্তা। পঞ্জাবে কেনা হয়েছিল আঠেরো একর কৃষিজমি।  গুয়াহাটিতে পনেরো একর জমির ওপর একটি বাংলো ছেলেকে উপহার দেন সুদীপ্ত সেন।

ইডি গোয়েন্দাদের শুভজিত জানিয়েছেন, তাঁর মা মধুমিতা সেনের  জন্যেও অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা রাখা হয়েছিল, তাঁর ব্যক্তিগত খরচ চালানোর জন্য। দ্বিতীয় স্ত্রী পিয়ালি সেনকেও দক্ষিণ কলকাতায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। মধুমিতার মতোই একই ধরনের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাঁর নামেও খুলে রাখা হয়েছিল ব্যক্তিগত খরচের জন্য।

তবে দুই স্ত্রীর নামে বিশেষ সম্পত্তি কেনেননি সুদীপ্ত সেন। এমনই দাবি করেছেন শুভজিত। তিনি জানিয়েছেন, শেষদিকে দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে পিয়ালী সেনের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয় সুদীপ্ত সেনের। কিন্তু তাঁর ব্যাপারে বরাবর দরাজ হস্ত ছিলেন বাবা। যখন যা চাইতেন তাই দিতেন। তাই কোনওদিনই ব্যবসায় ঢোকা বা তাতে নাক গলানোর কথা নাকি তাঁর মাথাতেই আসেনি!

 

.