নীতু মিথ্যে বলছে, জেরায় ক্ষোভ প্রকাশ সুদীপ্তর

মুখোমুখি জেরার সময় লাল-হলুদ কর্তা মিথ্যে কথা বলছেন বলে দাবি করলেন সুদীপ্ত সেন। জেরায় দেবব্রত সরকারের কথায় তদন্তকারীরা খুঁজে পেয়েছেন একাধিক অসঙ্গতি। এদের জেরার ফাঁকেই প্রায় পাঁচঘণ্টা জেরা চলে নীতু ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়ালেরও। নীতু ও সন্ধিরের বক্তব্যের অসঙ্গতি থেকেই তদন্তকারীরা খুঁজে পেলেন নয়া তথ্য।

Updated By: Aug 23, 2014, 10:42 AM IST
নীতু মিথ্যে বলছে, জেরায় ক্ষোভ প্রকাশ সুদীপ্তর

কলকাতা: মুখোমুখি জেরার সময় লাল-হলুদ কর্তা মিথ্যে কথা বলছেন বলে দাবি করলেন সুদীপ্ত সেন। জেরায় দেবব্রত সরকারের কথায় তদন্তকারীরা খুঁজে পেয়েছেন একাধিক অসঙ্গতি। এদের জেরার ফাঁকেই প্রায় পাঁচঘণ্টা জেরা চলে নীতু ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়ালেরও। নীতু ও সন্ধিরের বক্তব্যের অসঙ্গতি থেকেই তদন্তকারীরা খুঁজে পেলেন নয়া তথ্য।

ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার এখনও সত্যি কথা বলছেন না। তদন্তকারীদের সামনে এমনই দাবি করলেন সুদীপ্ত সেন। শুক্রবার দিনভর জেরার ফাঁকে দুই অভিযুক্তকে কিছুক্ষণের জন্য সামনাসামনি আনা হয়। এদিন আগাগোড়া সুদীপ্ত সেন তার আগের করা অভিযোগেই অনড় থেকেছেন। যদিও ইস্টবেঙ্গল কর্তা সারদা কর্তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু নীতুর বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বয়ানে বিস্তর ফারাক খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। বেশকিছু প্রশ্নের উত্তরও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ সুদাপ্ত সেন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর পথে বলে গেলেন নীতু সত্যি কথা বলছে না।

এরইমাঝে প্রায় পাঁচঘণ্টা জেরা চলে নীতু ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়ালের। নিজেকে একজন সম্পন্ন ব্যবসায়ী হিসাবে দাবি করেন। সারদা কর্তার সঙ্গে তার যোগাযোগ অস্বীকার করেন তিনি। নিজের এবং কোম্পানির স্বচ্ছ ভাবমুর্তি তুলে ধরতে দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রামান্য ছবিও তুলে ধরেন তিনি। যদিও তারমাঝেই সুদীপ্ত সেন সন্ধিরকে সনাক্ত করেন, দাবি করেন এই ব্যবসায়ীর অফিসেই নীতুর নির্দেশে তার ড্রাইবারকে দিয়ে একাধঠিকবার টাকা পাঠিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে নীতু সন্ধির আগরওয়ালের সঙ্গে তারকোনও ব্যবসায়ীক যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেন।  তবে শেষপর্যন্ত তিনি স্বীকার করেন সন্ধিরকে তিনি চিনতেন।

তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উড়িয়ে সিবিআই অফিস থেকে থানায় যাওয়ার পথে নীতুর  মন্তব্য যা বলার পরে বলব। তদন্তকারীদের দাবি নীতু এবং সন্ধিরের সূত্র ধরেই হদিস মিলবে আর্থিক নিয়ামক সংস্থাগুলির কর্তাদের। যাদের মদতে বছরের পর বছর বেআইনীভাবে আমানত সংগ্রহের কারবার চালিয়েছিলেন সারদা কর্তা।

 

.