মমতাকে ক্ষোভের কথা জানিয়ে এলেন শুভেন্দু, মন দিয়ে কাজ করার পরমার্শ দলনেত্রীর

মমতাকে ক্ষোভের কথা জানিয়ে এলেন শুভেন্দু

Updated By: Jun 14, 2014, 08:06 PM IST

মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করে ক্ষোভের কথা জানিয়ে এলেন শুভেন্দু অধিকারী। ১৯৯৯ সাল থেকে জানপ্রাণ লড়িয়ে দল করলেও কেন তাকে রাজ্য যুব সভাপতির পদ থেকে সরানো হল তা জানতে চান শুভেন্দু অধিকারী।

রদবদলে বাদ পড়েছিলেন। তৃণমূলের রাজ্য যুব সভাপতির পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন অবশ্য প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেননি তৃণমূল সাংসদ।

ক্ষোভটা ফেটে বেরোয় দিনকয়েক পরেই। বিভিন্ন কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের পিছনে রিগিং তত্ত্ব নিয়ে মুখ খোলেন তমলুকের সাংসদ।

শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ে। শেষ পর্যন্ত শনিবার প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নে শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি জানতে চান, শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়তে চান কিনা। শুভেন্দুর পাল্টা প্রশ্ন, নিরানব্বই থেকে জান লড়িয়ে কাজ করলেও দল কেন আস্থা রাখতে পারল না। মমতার যুক্তি, কমবয়সিদের সুযোগ দিতেই রাজ্য যুব সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে শুভেন্দুকে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ সরিয়ে মন দিয়ে কাজ করার পরামর্শের পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রীর অনুরোধ, প্রকাশ্যে যেন দলবিরোধী কথা না বলেন শুভেন্দু।

এদিকে, সিন্ডিকেটের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। রাজ্যেও কোনও সিন্ডিকেট নেই। ফের দাবি করলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, যেহেতু সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই, তাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠেনা।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এখন পাখির চোখ তৃণমূলের। আর নির্বাচন নিয়েই আঝ আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে দলীয় এমএলএ, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়।

.