বিকেলের কালবৈশাখীতে সামান্য স্বস্তি দিনের দাবদাহে
বিকেলের কালবৈশাখীতে সামান্য স্বস্তি দিনের দাবদাহে
বিকেলেই নেমে এল অন্ধকার। কালবৈশাখী আছড়ে পড়ল কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে। পঞ্চাশ থেকে ষাট কিমি বেগে ধেয়ে আসে ঝড়। চলে বজ্রবিদ্যুত্সহ বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি কমবে না। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ডিগ্রি বেশি।
ফের অসহ্য গরম আর চূড়ান্ত অস্বস্তি থেকে রেহাই দিল কালবৈশাখী। ঝড়বৃষ্টিতে জুড়লো জ্বালা। তবে, গত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা বলছে, কালবৈশাখীর বৃষ্টি যেটুকু স্বস্তি দিচ্ছে পরের দিনই উধাও হয়ে যাচ্ছে তা। আবহাওয়া দফতরও জানাচ্ছে, এই বৃষ্টিতে অস্বস্তি এতটুকুও কমবে না।
অতএব, আগামী দিনে ফের চাঁদিফাটা রোদ্দুর। প্যাচপ্যাচে ঘাম, চূড়ান্ত অস্বস্তি। সঙ্গে গরম হাওয়া। সকাল থেকেই রোদের আঁচে ঝলসানো। কিন্তু জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহেও কেন এমন পরিস্থিতি? পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির জন্য থাকছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা । বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে, মালদহ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে। কিন্তু কবে আসবে বর্ষা? অপেক্ষায় কলকাতাসহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। সেকারণেই বাড়ছে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির জন্য থাকছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা । বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে, মালদহ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে। বৃষ্টি হলেও কমবে না অস্বস্তি। আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় কলকাতার জন্য এমনই পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ডিগ্রি বেশি।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সূর্য এখন পৃথিবীর এতটাই কাছে চলে এসেছে যে সমুদ্রের জল ও স্থলভাগ দুই-ই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। ফলে অন্যান্য বছর দখিনা বাতাস তীব্র গরমেও যে স্বস্তি দেয়, এবছর তা নিজেই তপ্ত থাকছে। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরের অনেকটা অংশে বর্ষা ঢুকে যাওয়ায় গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের বাতাসে বাড়ছে জলীয় বাষ্প। ফলে হাঁসফাঁস গরম, ঘাম, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কলকাতায়।