রাজ্যে সাধারণ ধর্মঘট, ফতোয়াই অস্ত্র সরকারের

সাধারণ ধর্মঘটের মোকাবিলায় সার্বিক ভাবে মাঠে নামছে প্রশাসন। ধর্মঘটের ২৪ ঘণ্টা আগে আরও একবার তা পরিষ্কার করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মঘটের দিন সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করতে সব পরিবহণই সচল রাখার প্রশাসনিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে।

Updated By: Feb 27, 2012, 07:11 PM IST

সাধারণ ধর্মঘটের মোকাবিলায় সার্বিক ভাবে মাঠে নামছে প্রশাসন। ধর্মঘটের ২৪ ঘণ্টা আগে আরও একবার তা পরিষ্কার করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মঘটের দিন সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করতে সব পরিবহণই সচল রাখার প্রশাসনিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কেউ যদি ধর্মঘটের দিন কাজে যোগ না-দেন তাহলে তাঁর সার্ভিস ব্রেক হতে পারে। আবার রাস্তায় কেউ ধর্মঘটের সমর্থনে জোর-জুলুম করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ধর্মঘটের দিন জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে মহাকরণ, লালবাজার ও জেলায় জেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে গোটা ব্যবস্থার তদারকি করবেন।
ওদিকে ডিসি সদর জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকেই সারা শহরে বসানো হবে পুলিস পিকেট। মোট ২৭০টি পুলিস পিকেট থাকবে কলকাতায়। এছাড়াও থাকবে কলকাতা পুলিসের ফ্লাইং স্কোয়াড। শহরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অফিস, বাজার ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিসি পাহারা থাকবে বাস ও ট্রাম ডিপোগুলিতেও। কেউ জোর করে কাউকে কাজে যোগ দিতে বাধা দিলে তত্‍ক্ষণাত্‍ আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিস।

তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রাস্তায় নেমে তৃণমূল কর্মীরা ধর্মঘটের বিরোধিতা করবে না। রাস্তায় ধর্মঘটের দিন মিছিল করবে না তৃণমূল। আবার ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তা জুড়ে কোনও দল বা সংগঠনকে যে মিছিল করতে দেওয়া হবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ধর্মঘটের দিন পরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল রাখতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সল্টলেক ও রাজারহাটের বিভিন্ন ডিপো ঘুরে দেখেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।

ওদিকে ধর্মঘট ব্যার্থ করতে বিভিন্ন দফতরে কর্মীদের অফিসেই থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন কর্তারা। আমলা মন্ত্রীদের নেক নজরে পড়তে সেই 'অনুরোধ' মেনেও নিয়েছেন কিছু কর্মী। রাত বাড়তেই সেখানে চড়ুইভাতির মেজাজ। চলছে রান্নাবান্না। সঙ্গে তারস্বরে বাজছে গান। কোথাও কোথাও সরকারি অফিসের ভিতরেই চলেছে মদ্যপান।
সরকারের এই নির্দেশে প্রশ্ন উঠছে, ধর্মঘট ব্যার্থ করতে গিয়ে সরকারি অফিস থেকে ফাইল লোপাট হলে দায় নেবে কে?

.