প্রেসিডেন্সি হামলার ঘটনায় বেকায়দায় প্রশাসন
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় অস্বস্তি আরও বাড়ল রাজ্য প্রশাসনের। ওই ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে প্রথমে কাঙ্খিত সহযোগিতা করেনি পুলিস। এমনই অভিযোগ করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অমল মুখোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে কমিশনের তদন্তে জ্যাভেলিন বিতর্কে উঠে এসেছে নতুন তথ্য।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় অস্বস্তি আরও বাড়ল রাজ্য প্রশাসনের। ওই ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে প্রথমে কাঙ্খিত সহযোগিতা করেনি পুলিস। এমনই অভিযোগ করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অমল মুখোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে কমিশনের তদন্তে জ্যাভেলিন বিতর্কে উঠে এসেছে নতুন তথ্য।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় পৃথক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে। কমিশনের তরফে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায়কে। তদন্তের কাজে প্রথমে তাঁকে কাঙ্খিত সহযোগিতা করেনি পুলিস। অভিযোগ করেছেন অমল মুখোপাধ্যায়। কোন সুবাদে তিনি তদন্ত করছেন, এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেন স্বরাষ্ট্রসচিব। এমনই অভিযোগ তদন্ত কমিশনের প্রধানের।
মানবাধিকার কমিশনের তদন্তের জেরে নতুন মাত্রা পেয়েছে জ্যাভেলিন বিতর্ক। ১০ এপ্রিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার সময় ব্যবহার করা হয় একটি জ্যাভেলিন। ওই জ্যাভেলিন প্রেসিডেন্সির বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিনা, তাই নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। জ্যাভেলিনটি এখন রয়েছে পুলিসের হেফাজতে। অমলবাবু জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টক রেজিস্টার এবং নতুন কেনা দুটি জ্যাভেলিনের রশিদ পরীক্ষা করে তিনি প্রমাণ পেয়েছেন, ১০ এপ্রিল হামলার ঘটনার পর কোনও নতুন জ্যাভেলিন আনা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পর কেটে গেছে এক মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য প্রশাসন। এরই মধ্যে মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে পুলিসের বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগ ওঠায়, এবং জ্যাভেলিন বিতর্কে নতুন তথ্য সামনে আসায় নিঃসন্দেহে অস্বস্তি আরও বাড়ল রাজ্য প্রশাসনের।