অব্যাহত দুয়োরানি দশা, কেন্দ্রীয় সরাকারি কর্মীদের থেকে ৬১% কম ডিএ পাচ্ছেন রাজ্যের পরিবহণ কর্মীরা

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে  রাজ্য সরকারি কর্মীরা চুয়ান্ন শতাংশ ডিএ কম পাচ্ছেন। সরকারি পরিবহণ কর্মীদের অবস্থা আরও খারাপ। তাঁদের ক্ষেত্রে ফারাকটা একষট্টি শতাংশ। জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার সাত শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করলেও সরকারি পরিবহণ কর্মীদের ভাগ্যে তা জোটেনি। মন্ত্রীমশাই জেল হেফাজতে। কবে ছাড়া পাবেন কেউ জানে না। সিবিআইয়ের খাঁড়া মাথায় নিয়ে পিজি-র কেবিনে বড্ড মন খারাপ। তবে, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা রাজ্যের সরকারি পরিবহণ কর্মীদের। তাঁদের কথা ভাবার কেউ নেই । মন্ত্রী থেকেও নেই। তাই, নড়ছে না ফাইল। মিলছে না ডিএ।

Updated By: Sep 10, 2015, 09:26 PM IST
অব্যাহত দুয়োরানি দশা, কেন্দ্রীয় সরাকারি কর্মীদের থেকে ৬১% কম ডিএ পাচ্ছেন রাজ্যের পরিবহণ কর্মীরা

ব্যুরো: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে  রাজ্য সরকারি কর্মীরা চুয়ান্ন শতাংশ ডিএ কম পাচ্ছেন। সরকারি পরিবহণ কর্মীদের অবস্থা আরও খারাপ। তাঁদের ক্ষেত্রে ফারাকটা একষট্টি শতাংশ। জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার সাত শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করলেও সরকারি পরিবহণ কর্মীদের ভাগ্যে তা জোটেনি। মন্ত্রীমশাই জেল হেফাজতে। কবে ছাড়া পাবেন কেউ জানে না। সিবিআইয়ের খাঁড়া মাথায় নিয়ে পিজি-র কেবিনে বড্ড মন খারাপ। তবে, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা রাজ্যের সরকারি পরিবহণ কর্মীদের। তাঁদের কথা ভাবার কেউ নেই । মন্ত্রী থেকেও নেই। তাই, নড়ছে না ফাইল। মিলছে না ডিএ।

এখন, সিটিসির কর্মী সংখ্যা পাঁচ হাজার তিনশো। সিএসটিসি-তে কাজ করেন পাঁচ হাজার দুশো জন। এনবিএসটিসির কর্মী সংখ্যা উনিশশো। এসবিএসটিসি-তে কাজ করেন তিন হাজার দুশো জন। ভূতল পরিবহণ নিগমে রয়েছেন সাড়ে তিনশো কর্মী। সব মিলিয়ে রাজ্যের পাঁচটি সরকারি পরিবহণ সংস্থায় স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা পনেরো হাজার নশো পঞ্চাশ। 

এই পরিবহণ কর্মীদের এখন দুয়োরানির দশা। 

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের চেয়ে এখন চুয়ান্ন শতাংশ ডিএ কম পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। 

জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার সাত শতাংশ ডিএ ঘোষণা করলেও সরকারি পরিবহণ কর্মীরা তা পাচ্ছেন না।

ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি পরিবহণ কর্মীদের ডিএ-র ফারাক একষট্টি শতাংশ। 

সরকারি পরিবহণ কর্মীদের সমস্যার এখানেই শেষ নয়।

গত নভেম্বর থেকে সিএসটিসি-তে কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে মাসে দুবার। একবার পঁচাত্তর শতাংশ। আরেকবার পঁচিশ শতাংশ। কিন্তু, মাসের কোন তারিখে কত টাকা পাওয়া যাবে তার কোনও ঠিক নেই। 

নভেম্বরে এনবিএসটিসি-তেও কর্মীদের মাসে দু-বার বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়। একবার সাতাত্তর শতাংশ। আরেকবার তেইশ শতাংশ।
কিন্তু, বাস্তবে মাসে একবারই বেতনের সাতাত্তর শতাংশ টাকা তাঁরা পাচ্ছেন। বাকি তেইশ শতাংশ টাকা মিলছে না। 

সারদা-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেয় পরিবহণ দফতর রয়ে গেছে মদন মিত্রর হাতে। মদন মিত্র জেলে না গেলে পরিবহণ কর্মীদের এই দুর্দশা হতো না, এ কথা জোর দিয়ে বলা যাবে না। কিন্তু, কর্মীরা অন্তত মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর সুযোগ পেতেন। এখন সেটাও নেই। মদন মিত্রর বদলে পরিবহণ দফতরে অন্য কেউ আসবেন এমন ইঙ্গিত এখনই নেই। যার নিট ফল, অভিভাবকহীন অবস্থায় চরম দুর্দশায় দিন কাটছে সরকারি পরিবহণ কর্মীদের। 

.