সারদা শিক্ষা নিয়ে র্যামেল গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে রাজ্য সরকার
এবার নজরে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা র্যামেল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। বাজার থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলার অভিযোগে এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রশ্ন উঠছে সারদা থেকে শিক্ষা নিয়েই কি রাজ্যের বোধোদয়?
এপ্রিল, ২০১৩
গা ঢাকা দিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। বন্ধ হতে শুরু করল সারদার মালিকানাধীন একের পর এক মিডিয়া হাউস। প্রকাশ্যে এল সাম্প্রতিককালের বৃহত্তম আর্থিক দুর্নীতি। সারদা কেলেঙ্কারি। অথচ, সারদা যে বাজার থেকে বেআইনিভাবে টাকা তুলছে ২০১১তেই তা কেন্দ্রের নজরে এনেছিলেন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। সাংসদের চিঠি পেয়ে নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সারদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যকে মোট ছটি চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু, রাজ্যের তরফে কোনও চিঠিরই উত্তর দেওয়া হয়নি।
এরপর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল।সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গেছে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদের নাম। সারদা অভিজ্ঞতা থেকে কি শিক্ষা নিয়েছে রাজ্য? বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রামেল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিরুদ্ধে রাজ্যের পদক্ষেপ তেমনই ইঙ্গিত করছে।
এই বছরের জানুয়ারিতে কয়েকজন আমানতকারী র্যামেল গ্রুপের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানান।
তড়িঘড়ি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে রামেলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে অর্থ দফতর।
পাশপাশি, অর্থ দফতরের তরফে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সিট ও এসএফআইওকেও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।