সাড়া মেলেনি পাঁচ মাসেও, শিল্প টানতে জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
গত বছর ৫ অগস্ট শিল্প পার্ক তৈরির জন্য ৯৯ বছরের লিজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। সরকারি জমিতে পার্ক করার জন্য প্রাইভেট ডেভেলপারদেরকে টেন্ডারে অংশ নিতে বলে। যাদের শিল্প পার্ক অথবা ক্লাস্টার তৈরির অভিজ্ঞতা আছে তাদের প্রেফারেন্স দেওয়ার কথাও বলা হয়।
সুতপা সেন: সাড়া মেলেনি, বিনিয়োগের স্বার্থে শিল্পের জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের। জমির দাম বেশি তাই শিল্পের জন্য পার্ক (industrial park) তৈরিতে সাড়া মেলেনি গত চার মাসে। বাধ্য হয়েই জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিল ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর।
গত বছর ৫ অগস্ট শিল্প পার্ক তৈরির জন্য ৯৯ বছরের লিজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। সরকারি জমিতে পার্ক করার জন্য প্রাইভেট ডেভেলপার, অন্ত্রপ্রিনিয়রদেরকে টেন্ডারে অংশ নিতে বলে। যাদের শিল্প পার্ক অথবা ক্লাস্টার তৈরির অভিজ্ঞতা আছে তাদের প্রেফারেন্স দেওয়ার কথাও বলা হয়।
শর্ত ছিল ন্যূনতম পাঁচ একর জমি নিতে হবে। আরও বলা হয় এক জনের বেশি আবেদন করলে যিনি সবথেকে বেশি দর দেবেন তিনিই বরাত পাবেন। এছাড়াও বলা হয় অফার লেটার পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ১০ শতাংশ টাকা দিতে হবে।
শিল্পোদ্যোগীরা রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে, সরকারের জমির দাম অনেক বেশি। এর চেয়ে কম দামে ওইসব এলাকায় ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি পাওয়া যাচ্ছে। তাই সরকার দাম না কমালে সরকারি জমি কেনা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: Kolkata High Court: বয়কট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস, সিদ্ধান্তে বিভক্ত বার এসোসিয়েশন
বিনিয়োগের স্বার্থে শিল্পোদ্যোগীদের দাবি মেনে এবার জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার দেখেছে যে বাজারের তুলনায় জমির দাম বেশি হচ্ছে। শিল্পপতিরা অনেকেই জানিয়েছিলেন। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে হয় মানুষ আরও আকৃষ্ট হবেন, আরও এগিয়ে আসবেন’। তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যার কিছু নেই, এটা বোঝা যায় যে বাজারের ভ্যালুর সঙ্গে একটা সামঞ্জস্য রাখতে হবে। সেই হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কারোর কোনও অসুবিধা হবে বলে আমাদের মনে হয় না’।
আরও পড়ুন: সাদ্দামকে খুনের অস্ত্র দিত কে? মধ্যপ্রদেশে এসটিএফের জালে আরও এক ISIS জঙ্গি!
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘এভাবে শিল্পায়ন অথবা লগ্নি টানা সম্ভব নয়। আইন শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি, লোয়ার জুডিশিয়ারি হুমকির মুখে। এটা শিল্প আনার বড় প্রতিবন্ধকতা। এবং সর্বোপরি সরকারের শিল্পবান্ধব পরিস্থিতি না তৈরি করার কারণেই এই রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনা নেই। রাজ্য থেকে একজন শিল্পপতিকে সরিয়ে দিয়ে যে সরকার আবির খেলে আর ভিক্ট্রি সাইন দেখায় সেখানে অন্য শিল্পপতিদের কাছে কী বার্তা যায়? বউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করেছেন, সেখানে এখন বড় বড় ঘাস গজিয়ে গিয়েছে গরু ছাগল চরে বেরাচ্ছে’।