সাদ্দামকে খুনের অস্ত্র দিত কে? মধ্যপ্রদেশে এসটিএফের জালে আরও এক ISIS জঙ্গি!
লক্ষ্য ছিল একটা মডিউল তৈরি করা। শুধু তাই নয়, আইসিসের মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছিল। পাশাপাশি ২ ধর্মীয় নেতার উপরে হামলার ছক ছিল তাদের।
পিয়ালি মিত্র: মধ্যপ্রদেশ থেকে ধৃত আরও এক সন্দেহভাজন ISIS জঙ্গি। নাম কুরেশি। গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। তার খোঁজেই তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ISIS জঙ্গি সাদ্দাম ও সঈদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ধৃত জঙ্গি কুরেশির। তার কথা মতোই কাজ করছিল সাদ্দাম। ধৃত জঙ্গি কুরেশির কাছ থেকেই একটি অত্যাধুনিক AK সিরিজের অস্ত্র নেওয়ার কথা ছিল সাদ্দামদের। ধৃত জঙ্গি কুরেশি একজন প্রাক্তন সিমি নেতা।
আব্দুল রাকিব কুরেশির বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে তিনটে মামলা রয়েছে। যার মধ্যে UAPA-র মামলাও রয়েছে । দুটি মামলাতে সাজাও খাটে। একটিতে জামিনে ছিল। বহুবছর সিমির হয়ে কাজ করে। তার ভাইও সিমির সদস্য ছিল। পরবর্তী সময় কুরুশি ISIS এর স্লিপার সেলের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে সেখানকার স্থানীয় কোর্ট। আজ রাতে কলকাতা নিয়ে এসে আগামীকাল ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, হাওড়ার ওই দুই যুবককে গত ৭ জানুয়ারি খিদিরপুর থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাদের সঙ্গে আইসিসের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি এসটিএফের। জেরা করে জানা গিয়েছে ২ ধর্মীয় নেতাকে খুনের ছক ছিল ধৃত সাদ্দাম ও সইদের। ধৃত সন্দেহভাজন ২ আইসিস জঙ্গিকে জেরা করবে এনআইএ-ও। এসটিএফের জেরায় উঠে এসেছে বিভিন্ন অ্য়াপের মাধ্যমে ওই দুজনের সঙ্গে আইসিস জঙ্গিদের যোগাযোগ ছিল। এক্ষেত্রে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ হয় সাদ্দামের। পরে সাদ্দাম দলে টানে সইদকে।
ওই দুজনকে জেরা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তাদের ল্যাপটপ, মোবাইল থেকে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য় পাওয়া গিয়েছে তা হল সাদ্দাম ও সইদ কমপক্ষে ১০ জনকে নিয়োগ করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল একটা মডিউল তৈরি করা। শুধু তাই নয়, আইসিসের মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছিল। পাশাপাশি ২ ধর্মীয় নেতার উপরে হামলার ছক ছিল তাদের। সেই হামলার জন্য অস্ত্র জোগাড় করতে নেমে পড়েছিল তারা। এর জন্য ব্লু প্রিন্টও তৈরি করে ফেলেছিল তারা। হামলার জন্য যে অস্ত্রের প্রয়োজন তা সংগ্রহ করার জন্য ডিলও করে ফেলেছিল। সেই অস্ত্র হাতে পেলেই তারা হামলা চালাত।
দেশের বিভিন্ন দফতরেও তাদের অপারেশন চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন রাজস্থানের উদয়পুরে যেভাবে এক দর্জিকে গলা কেটে খুন করা হয়েছিল এবং সেই ছবি ভাইরাল করা হয়েছিল, সেরকমই প্ল্যান ছিল এই দুজনের। অর্থাত্ আইসিস যে এদেশে চলে এসেছে সেই বার্তা দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন, গুটখার প্যাকেটে লাখ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা পাচার! কলকাতা বিমানবন্দরে চাঞ্চল্য