প্রতিবাদের মুখ বন্ধ করতে এবার তত্পর রাজ্যের অর্থ দফতর
সরকারি কর্মীদের মিটিং, মিছিল, আন্দোলন বন্ধ করতে এবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের অর্থ দফতর। রাজ্যের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই আন্দোলন সম্পর্কে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মঘটের নামে শ্রমদিবস নষ্ট করা বরদাস্ত করা হবে না। বারবারই একথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলন রুখতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের বদলি করা হয়েছে। ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের বেতন কাটা হয়েছে। অবশেষে নির্দেশিকা জারি হল।
সরকারি কর্মীদের মিটিং, মিছিল, আন্দোলন বন্ধ করতে এবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের অর্থ দফতর। রাজ্যের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই আন্দোলন সম্পর্কে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মঘটের নামে শ্রমদিবস নষ্ট করা বরদাস্ত করা হবে না। বারবারই একথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলন রুখতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের বদলি করা হয়েছে। ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের বেতন কাটা হয়েছে। অবশেষে নির্দেশিকা জারি হল।
আড়াই বছর ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরকারি কর্মীদের কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। আন্দোলনের নামে কর্মদিবস নষ্ট করা তিনি যে বরদাস্ত করবেন না, শুরু থেকেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বারেবারেই। ২০১১ সালে নতুন সরকার আসার কয়েক মাসের মধ্যে সরকারি কর্মচারিদের বেতন এবং ছুটি কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ধর্মঘটে অংশে নেওয়ার অপরাধেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেইসময় রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সরকারি কর্মচারীদের ইউনিয়ন করার অধিকার নেই। শ্রমমন্ত্রীর বক্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানায় একাধিক কর্মী সংগঠন। এরপর ডান বাম নির্বিশেষে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা এবং কর্মীকে বদলি করতে শুরু করে সরকার। উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলন ভেঙে দেওয়া। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
আটত্রিশ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন করেছেন সরকারি কর্মীরা। আন্দোলন হয়েছে সরকারের বদলি নীতির বিরুদ্ধেও। মহাকরণ থেকে সচিবালয়কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদেও আন্দোলন হয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে বিভিন্ন কর্মী সমগঠনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একত্রিশে ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের মহাকরণ ছেড়ে চলে যেতে হবে। নতুন সচিবালয় নবান্নতে কোনও ইউনিয়নকেই দফতর দেওয়া হবে না। কারণ সরকার চায়না অফিসের মধ্যে ইউনিয়ন রুম থাকুক। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও মুখর হয়েছেন কর্মীরা। গত সপ্তাহে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে নবান্নতে বিক্ষোভ দেখায় কয়েকটি কর্মী সংগঠন। লাগানো হয় ফেস্টুন। দুটি ক্ষেত্রেই পুলিসের তরফ থেকে বাধা আসে। ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়। বদলি করা হয় দুই ইউনিয়ন নেতাকে। মঙ্গলবারই সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মহাকরণে সাংবাদিক বৈঠক করে কোঅর্ডিনেশন কমিটি।
প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নবপর্যায়ও দুই সংগঠন জানিয়ে দেয় আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তারা। কাকতালীয় ভাবে এদিনই রাজ্যের অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিদেবী নির্দেশিকা জারি করেন নবান্ন চত্বরে মিটিং, মিছিল, বিক্ষোভ ইত্যাদি আয়োজন করলে ওয়েস্টবেঙ্গল সার্ভিস রুল, ১৯৮০ অমান্য করা হবে। এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস রুল, ১৯৭১ অনুযায়ী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।