SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল, জারি হল বিজ্ঞপ্তিও
ওএমআর শিটে জালিয়াতির জেরে ওই ১৯১১ জনের সুপারিশ বাতিল করল কমিশন। এবার ওয়েটিংয়ে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়
অর্নবাংশু নিয়োগী: এসএসসির গ্রুপ ডি-তে ১৯১১ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছিল। শুক্রবার হাইকোর্টে এমনটাই স্বীকার করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের নির্দেশে ওই ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আরও পড়ুন-মলম বিতর্কে জাদেজার পাশে থেকে মাইকেল ভনকে ধুয়ে দিলেন রবি শাস্ত্রী
ওএমআর শিটে জালিয়াতির জেরে ওই ১৯১১ জনের সুপারিশ বাতিল করল কমিশন। এবার ওয়েটিংয়ে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। যদি সেখানেও ওএমআর শিটে জালিয়াতি থাকে তাহলে তাও বাতিল করতে হবে। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে।
কমিশন চাকরির সুপারিশ প্রত্যাহার করার ফলে বল এখন পর্ষদের কোর্টে। তবে পর্ষদ নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। আদালতে এমনটাই জানিয়েছেন পর্ষদের আইনজীবী। ওই ১৯১১টি শূন্যপদ পূরণ করা হবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে থেকে। তাদেরও সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না। তাদের ওএমআর-এ যদি কোনও কারচুপি থাকে তা খতিয়ে দেখা হবে। তার পরেই তাদের নিয়োগ হবে। ইতিমধ্যেই কাদের চাকরি বাতিল হল তাদের সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পর্যদ তাদের সাইটে প্রকাশ করেছে। অর্থাত্ ওই ১৯১১ জনের চাকরি আজ থেকে আর রইল না।
এদিন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যে সময় গ্রুপ ডি কর্মীদের নিয়োগ হয় সেই সময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কার নির্দেশে ওই জালিয়াতি তিনি করেছিলেন তার নাম তাঁকে সামনে আনতে হবে। যদি তিনি তা না করেন তাহলে ধরে নিতে হবে দুর্নীতির চূড়ায় তিনিই বসে রয়েছেন। যদি তিনি ভয় পান তাহলে তাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। যতদিন পর্যন্ত না তিনি মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন ততদিন তিনি তার ডক্টরেট ডিগ্রি ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবহার করতে পারবেন না। একজন প্রাক্তন ভিসির কাছ থেকে এরকম জিনিস কখনওই কাম্য নয়।
এদিকে, আগামী সপ্তাহে নাইন ও টেনে বিআইনিভাবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের মধ্য়ে ৮০০ জনের নাম প্রকাশ করা হবে। সূত্রের খবর, ওএমআর শিটে শূন্য পেয়েছেন অথচ তারা শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছেন এমন প্রায় একশো জন রয়েছেন।
গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিল নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন তা ঐতিহাসিক। যারা ওএমআর শিট জালিয়াতির পরও চাকরির সুপারিশ পেয়েছিলেন তাদের সবার সুপারিশ বাতিল। পর্ষদ তাদের নিয়োগপত্র বাতিল করবেন। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে তাদের বেতনও ফেরত দিতে হবে। নিয়োগের সময়ে যিনি পর্ষদ সভাপতি ছিলেন তিনি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা আর কোথাও ব্যবহার করতে পারবেন না।