শিল্প উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা সৌগতর

শিল্প উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফা পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে, এখনও তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সাংসদ মুখ না খুললেও, রাজ্যের নয়া শিল্পনীতির খসড়া নিয়ে মতান্তরের জেরেই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Updated By: Mar 7, 2013, 09:55 AM IST

শিল্প উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফা পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে, এখনও তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সাংসদ মুখ না খুললেও, রাজ্যের নয়া শিল্পনীতির খসড়া নিয়ে মতান্তরের জেরেই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর দলের সাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাজ্যে বিভিন্ন দফতরের উপদেষ্টা পদে পুনর্বাসন দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌগত রায়কে  দেওয়া হয়েছেল শিল্প দফতরের উপদেষ্টা পদ। প্রবীণ সাংসদের হাতে রাজ্যের নয়া শিল্পনীতির খসড়া তৈরির দায়িত্ব তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পের বেহাল দশা ফেরাতে ও বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে বণিকসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন সৌগত রায়। তৈরি হয় রাজ্যের নতুন শিল্পনীতির খসড়া। মাস দেড়েক আগেই সেই খসড়া জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। মতান্তরের সূত্রপাত সেখান থেকেই।
শিল্পে বিনিয়োগ টানতে খসড়ায় শিল্পপতিদের জন্য ইনসেনটিভ দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন সৌগত রায়। কিন্তু, রাজ্যের বেহাল আর্থিক অবস্থার কারণে সেই সুপারিশ মানতে রাজি হয়নি অর্থ দফতর। ফলে এখনও পাস হয়নি নয়া শিল্পনীতি। শিল্পপতিদের ইনসেনটিভ দেওয়ার সুপারিশে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রীও। ফলে বেশকিছুদিন ধরেই এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতান্তর চলছিল সৌগত রায়ের। তার জেরেই কয়েকদিন  ধরেই উপদেষ্টা পদ থেকে সরে যাওয়া ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন সৌগত রায়। শেষপর্যন্ত দিনকয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েও দেন তিনি।
যদিও, এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়। মুখ খুলতে রাজি হননি সৌগত রায়ও। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতানৈত্যও প্রবীণ তৃণমূল সাংসদের শিল্প উপদেষ্টার পদ থেকে সরে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ। শিল্প দফতরের উপদেষ্টা হিসাবে তাঁর মাথার ওপরে সৌগত রায়কে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রথম থেকেই ভালো চোখে দেখেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উপরন্তু, ইদানিং বিভিন্ন বণিকসভার কর্তারা শিল্পমন্ত্রীর বদলে সৌগত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলায় অত্যন্ত বিরক্ত হন শিল্পমন্ত্রী। দুজনের মধ্যে ক্রমশই টানাপোড়েন বাড়ছিল। শেষপর্যন্ত শিল্প উপদেষ্টার পদ থেকে সরে যেতে হল সৌগত রায়কেই। আর সেইসঙ্গে রাজ্যের বেহাল শিল্পের হাল ফেরানোর উদ্যোগও আরও খানিকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে চলে গেল বলে মনে করছে শিল্পমহলের একাংশ।

.