এখনও অধরা সোনরপুরের দুষ্কৃতীরা
খবর সম্প্রচারের চব্বিশ ঘণ্টা পরেও সোনারপুরে মহিলা নিগ্রহের ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা অধরা। পুলিসের দাবি, থানায় যে দশজনের বিরুদ্ধে এইআইআর দায়ের হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন পলাতক। বাকিরা এলাকায় থাকলেও কেন তাদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।
খবর সম্প্রচারের চব্বিশ ঘণ্টা পরেও সোনারপুরে মহিলা নিগ্রহের ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা অধরা। পুলিসের দাবি, থানায় যে দশজনের বিরুদ্ধে এইআইআর দায়ের হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন পলাতক। বাকিরা এলাকায় থাকলেও কেন তাদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।
সোনারপুরের চণ্ডীতলায় নিজের জমিতে বাড়ি করার জন্য স্মৃতি মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই মহিলার অভিযোগ, টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে রীতিমত হুমকি দেন সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার পনেরো নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শ্যামলী গায়েন ও তাঁর স্বামী সুশান্ত গায়েন। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ। এরপর খোকন সাহা, সুমন এবং রাণা সহ আরও সাতজনের নামে এফআইআর করেন তিনি।
১৯৯৭ সালে সোনারপুরের চণ্ডীতলায় দুকাঠা জায়গা কিনেছিলেন দিল্লির বাসিন্দা স্মৃতি মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, গত এপ্রিলে সেখানে বাড়ি করতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামলী গায়েন ও তাঁর স্বামী সুশান্ত গায়েন পার্টি ফান্ডে মোটা টাকা জমা দিতে বলেন বলে মহিলার অভিযোগ।
স্মৃতি মুখোপাধ্যায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল নেতা মুকুল রায় ও সুব্রত বক্সিরও দ্বারস্থ হন তিনি। সুব্রত বক্সির নির্দেশে সোনারপুর থানার পুলিস গত ১২ অগাস্ট স্মৃতি মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর জমিতে যায়। সবপক্ষের উপস্থিতিতে জমি জরিপ করে মহিলার অংশ চিহ্নিত হয়। কিন্তু, পরের দিনই নিজের জমিতে পাঁচিল তুলতে গিয়ে ফের বাধার মুখে পড়েন স্মৃতি মুখোপাধ্যায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলেও অভিযোগ। অচৈতন্য স্মৃতি মুখোপাধ্যায়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস।
যদিও ধরা পড়েনি দুষ্কৃতীরা। পুলিসের দাবি, মূল তিন অভিযুক্ত খোকন সাহা, সুমন এবং রাণা পলাতক। তাদের খোঁজে রবিবার রাতে অভিযান চালানো হয়েছে। আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, বাকি সাতজন এলাকায় থাকলেও, পুলিস তাদের গ্রেফতার করেনি। সোনারপুরে মহিলাকে মারধরের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। দলীয় কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।