বয়স ১২০! শিবানন্দ বাবা প্রমাণ দিচ্ছেন পাসপোর্ট দেখিয়ে

বাবা এসছেন, বয়স ১২০। ওরে বাবা! নেতাজির সময়কার মানুষ। এই উনি নেতাজিকে নিশ্চয় দেখেছেন! মানুষটার বয়সের কথা শুনেই এদিক ওদিক থেকে ভেসে আসছিল এই কথাগুলো। বিশ্বাস হচ্ছে না। একটা মানুষের বয়স ১২০ বছর! তিনি জীবিত। ঢপ! মনও মানছে না আর কোনও বিজ্ঞানেই মিলছে না অঙ্কে। আরে এতো ২২ গজ নয়, রানের পর পর রান করেই যাচ্ছেন। এতো বয়স হাঁপিয়ে উঠছেন না! 'যন্ত্রপাতি' ঠিক আছে? হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, কিডনি, চোখ! ওদেরও তো বয়স হল। মেশিনে কী তেল দেন? যে চলেই যাচ্ছে! মশকরাগুলো গুজবের মতই ইতিউতি ঘুরপাক খাচ্ছে। বিস্ময় বাড়ছে। একবার চাক্ষুষ করে এলে কেমন হয়? 

Updated By: Aug 1, 2016, 07:28 PM IST
বয়স ১২০! শিবানন্দ বাবা প্রমাণ দিচ্ছেন পাসপোর্ট দেখিয়ে

কলকাতা: বাবা এসছেন, বয়স ১২০। ওরে বাবা! নেতাজির সময়কার মানুষ। এই উনি নেতাজিকে নিশ্চয় দেখেছেন! মানুষটার বয়সের কথা শুনেই এদিক ওদিক থেকে ভেসে আসছিল এই কথাগুলো। বিশ্বাস হচ্ছে না। একটা মানুষের বয়স ১২০ বছর! তিনি জীবিত। ঢপ! মনও মানছে না আর কোনও বিজ্ঞানেই মিলছে না অঙ্কে। আরে এতো ২২ গজ নয়, রানের পর পর রান করেই যাচ্ছেন। এতো বয়স হাঁপিয়ে উঠছেন না! 'যন্ত্রপাতি' ঠিক আছে? হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, কিডনি, চোখ! ওদেরও তো বয়স হল। মেশিনে কী তেল দেন? যে চলেই যাচ্ছে! মশকরাগুলো গুজবের মতই ইতিউতি ঘুরপাক খাচ্ছে। বিস্ময় বাড়ছে। একবার চাক্ষুষ করে এলে কেমন হয়? 

নিজে থেকেই হেঁটে এসছেন স্টুডিয়োতে। পরনে সাদা ধুতি আর ফোতুয়া। পায়ে একটা স্লিপার, কালো রঙের। গলায় তুলসীর মালা। বয়স হয়েছে ঠিকই, তা বলে ১২০। বাবার পাশে বসে থাকা এক মধ্য বয়স্কা মহিলা হাত বাড়িয়ে দিলেন দুটো জেরক্স। কী এগুলো? বাংলার দুটি বিখ্যাত ও প্রচলিত বাংলা দৈনিক পত্রিকার 'পেপার কাটিং'। ২৮ অক্টোবর, ২০১৩ সোমাবার ১০ কার্তিক ১৪২০, ৪.০০ টাকা দাম, বারো পাতা-এটাই ডেট লাইন। শিরোনাম-"দেশের প্রবীণতম নাগরিকের জন্য ফ্রি পাস মঞ্জুর করল রেল"। আর আরও একটি দৈনিকের শিরোনাম-"শতক পেরিয়ে রেকর্ডের দৌড়ে যোগী শিবানন্দ"। ওই পত্রিকার ডেট লাইন-কলকাতা ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ৮ পৌষ, ১৪২০ মঙ্গলবার, সপ্তম বর্ষ, ১৯৪ সংখ্যা, ১২ পাতার মূল্য ৩.০০ টাকা। একটি প্রতিবেদনে বিশ্বের প্রবীনতম নাগরিকের জন্ম বৃত্তান্ত আর অন্য প্রতিবেদনে যোগী শিবাবনন্দের জন্য রেলের ফ্রি-পাসের খবর। না, বিশ্বাসটা করতেই হচ্ছে। আরও একটা জেরক্স। শিবানন্দ বাবার পাসপোর্টের প্রথম পাতার ফটোকপি। 

সামনে মানুষটা বসে। আর হাতে নথি। একেবারে অবিশ্বাস্য। চোখকে বিশ্বাস করব না নথিকে? না দুটোই? বাবার ভক্তদের দাবি শিবানন্দ বাবা ৮ আগস্ট ১৮৯৬ সালে জন্মগ্রহন করেছেন অবিভক্ত বাংলার শ্রীহট্টতে (এখন বাংলাদেশে)। তবে শিবানন্দ বাবার বর্তমান ঠিকানা উত্তর প্রদেশের বেনারস। ৪/২০, কবির নগর, দূর্গা কুণ্ড, কারি মাতা মন্দিরের কাছেই শিবানন্দ বাবার আশ্রম। "আসবেন কিন্তু, পরিবারকে নিয়ে ঘুরে যাবেন", বাবার ভক্তদের একজন বললেন।

এরপর আরও যা দেখলাম, তা না বললেই নয়। হাঁটছেন কোন সাহারা ছাড়াই। চোখে একটু কম দেখেন কানেও একটু খাটো। তবে জীবনে বেঁচে থাকার রসদে জপছেন একটাই মন্ত্র। বাবা শিবানন্দ বলছেন, "নো টেনশন, নো প্রবলেম"। 

১২০ বছর বয়সেও জীবিত আছেন এই 'মহামানব'। নেই কোলেস্টেরল, সুগার, প্রেসার। আর এই জীবনের চাবি কাঠি হল তেল মশলা ছাড়া খাবার আর জল।  

.