একদিন পর খোঁজ মিলতেই সিঁথি থানা কাণ্ডে বয়ান বদল প্রত্যক্ষদর্শী আসুরা বিবির

রাজকুমারের ছেলের ভয়েই তিনি লুকিয়ে ছিলেন বলে দাবি করেছেন আসুরা।

Reported By: অয়ন ঘোষাল | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Feb 13, 2020, 04:37 PM IST
একদিন পর খোঁজ মিলতেই সিঁথি থানা কাণ্ডে বয়ান বদল প্রত্যক্ষদর্শী আসুরা বিবির

নিজস্ব প্রতিবেদন : সিঁথি থানা কাণ্ডে নাটকীয় মোড়। আচমকা বয়ান বদল 'মারধর'-এর একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী আসুরা বিবির। নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা বাদে খোঁজ মেলে ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী আসুরা বিবির। আর তারপরই বয়ান বদল আসুরা বিবির। পুলিসের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাতেই আসুরা বিবিকে উদ্ধার করে টালা থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে রাত্রিবাসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

উল্লেখ্য, পুলিসের বিরুদ্ধে রাজকুমার সাউকে মারধরের অভিযোগের পরেই উধাও হয়ে যান আসুরা। আসুরা বিবি ঘটনার পর দাবি করেন, তাঁর চোখের সামনেই ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউকে মারধর করে পুলিস। এরপরই আচমকা উধাও হয়ে যান আসুরা বিবি। এদিন অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে তাত্পর্যপূর্ণভাবে আগের দাবি নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। উল্টে মৃত রাজকুমারের ছেলের ভয়েই তিনি লুকিয়ে ছিলেন বলে দাবি করেছেন আসুরা। এদিকে 'ভয়ে লুকিয়ে ছিলাম', আসুরা বিবির এই মন্তব্যকে নাকচ করে মৃত রাজকুমার সাউয়ের পরিবার দাবি করেছে, পুলিস অথবা কোনও প্রভাবশালীর চাপেই বয়ান বদল করেছেন মহিলা। সেকারণে পুলিসি তদন্তে তাঁদের আর আস্থা নেই।

অন্যদিকে, বুধবার রাত থেকেই আসুরা বিবির বাসস্থান অর্থাত্‍ পাইকপাড়ার রাত্রিবাসে পুলিসি নজরদারি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, এদিন শিয়ালদা আদালতে প্রথমে কথা থাকলেও, শেষপর্যন্ত সিঁথি থানাতেই আসুরা বিবির গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেন ম্যাজিস্ট্রেট। সব অফিসার ও কর্মীদের থানার বাইরে বের করে দিয়ে ভিতরে জবানবন্দি নেন ম্যাজিস্ট্রেট। থানার ছোট, মেজো, বড় সব অফিসারদের বাইরের বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন, সিঁথিকাণ্ডে পুলিসের বিরুদ্ধে এবার মোটা অঙ্কের টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ নিহতের ছেলের

আরও পড়ুন, দেশের মধ্যে প্রথমবার, ইউটিউবে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং করবে কলকাতা হাইকোর্ট

আরও পড়ুন, 'মা হতে চাই', হাইকোর্টের নির্দেশে বিয়ের ৯ বছর পর স্বামীর সঙ্গ পেতে চলেছেন শিক্ষিকা

প্রসঙ্গত, থানার লকআপে তুলে নিয়ে গিয়ে 'মারধরের' চোটে  মৃত্যু হয়েছে রাজকুমার সাউয়ের। এমনই অভিযোগ করে পরিবার। রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে এলাকা। প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপিও। তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। এরপরই আচমকা উধাও হয়ে যান আসুরা। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে আর ফেরেননি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

.