'ঝরা মুকুলে'র নতুন ঠিকানা গেরুয়া শিবির? জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে
তৃণমূলের এখন 'ঝরা মুকুল' তিনি। অনেকখানিই ভারমুক্ত। স্বাধীন। রাজ্য রাজনীতিতে এখন তাঁকে নিয়ে জোর জল্পনা। বসন্তের হাওয়ায় ইতিউতি ভেসে বেড়িয়ে নতুন ঠিকানার খোঁজ নাকি শামুক খোলের মধ্যেই নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন তৃণমূলের একদা সেকন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়! তবে তাঁর ডিপ্লোমেটিক উত্তর হয়ত আসবে 'সময়ই বলবে'। কারণ এখন সময়ের উপর ভরসা করা ছাড়া 'একলা মুকুলে'র দ্বিতীয় কোনও পথ নেই।
ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলের এখন 'ঝরা মুকুল' তিনি। অনেকখানিই ভারমুক্ত। স্বাধীন। রাজ্য রাজনীতিতে এখন তাঁকে নিয়ে জোর জল্পনা। বসন্তের হাওয়ায় ইতিউতি ভেসে বেড়িয়ে নতুন ঠিকানার খোঁজ নাকি শামুক খোলের মধ্যেই নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন তৃণমূলের একদা সেকন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়! তবে তাঁর ডিপ্লোমেটিক উত্তর হয়ত আসবে 'সময়ই বলবে'। কারণ এখন সময়ের উপর ভরসা করা ছাড়া 'একলা মুকুলে'র দ্বিতীয় কোনও পথ নেই।
গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত করা হয় মুকুল রায়কে। রাজনৈতিকমহলে জোর জল্পনা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। জল্পনা বাস্তবায়িত হলে ২০১৬ বিপর্যয়ের মুখ দেখবে রাজ্য বিজেপি। এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই দিল্লিতে মুকুল বিরোধী দরবার করেছেন রাহুল সিন্হারা। কিন্তু তাতেও অস্বস্তি কাটছে না রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের।
সারদাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল অনেক আগেই। তলব করেছিল সিবিআই । জেরা থেকে বেরিয়ে মুকুল রায় যা দাবি করেন, তাতেই নড়ে যায় তৃণমূলের ভিত। 'প্রকৃত সত্য উদঘাটন হওয়া'র আগেই বাঘের নখ উপড়ে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সারদা নিয়ে মুকুলের মন্তব্যের পর থেকেই দলে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। মুকুলও দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন। সময় দিচ্ছিলেন রাজধানীতে। কখনও রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, কখনও বা অরুণ জেটলি, আবার কখনও বৈঠক করছিলেন অমিত শাহের সঙ্গে। তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় জল্পনা।
মুকুল রায় যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে ২০১৬ রাজ্যে বিজেপির সম্ভাবনা সমূলে ধ্বংস হবে, ধারণা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের। তাই সিদ্ধার্থনাথ সিংকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে মুকুল-বিরোধী দরবার করছেন তাঁরা। তাতে কি অস্বস্তি কাটাতে পারছে রাজ্য বিজেপি?
কী হবে মুকুল রায়ের ভবিষ্যত্? সত্যিই কি তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন? এনিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি চাপ দেবে রাজ্য বিজেপিকে? সেনিয়ে জল্পনা রাজ্য বিজেপির অন্দরেই।