বামপন্থীরা লড়াই করে এক ঢিলে দুটো পাখি মারে- TMCP ও ABVP, জয় পেয়ে কটাক্ষ এসএফআইয়ের
এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে এসে পড়ুদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। খোদ রাজ্যপাল এসে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাশিত ফল পেয়েই এসএফআইয়ের হুঙ্কার, প্রেসিডেন্সি-যাদবপুর মডেলে ভোট করালে টিএমসিপি-এবিভিপি উড়ে যাবে! বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, যাদবপুরে ৩টে ফেকাল্টি রেজাল্টে স্পষ্ট তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী ভোট দিয়েছে ছাত্ররা। বিরোধীরা কেউ ধারেকাছে আসতে পারেনি।
এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে এসে পড়ুদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। খোদ রাজ্যপাল এসে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁকে। যা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। এই আবহে জেইউ-তে নিজেদের ব্যানারে এই প্রথম ভোটের ময়দানে নামে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে দ্বিতীয় স্থান দখল করে এবিভিপি। কিন্তু তাদের এই উত্থানে চিন্তিত নয় এসএফআই। সৃজনের কটাক্ষ, “যাদবপুরে যত পতাকা ওরা দিয়েছিল, তত লোক ওদের ছিল না। নিজেদের নামে দোকান খুলে কম ভোট পেয়েছে।”
আরও পড়ুন- যেখানে সিপিএম নেই, ভরিয়ে দিন লাল ঝান্ডায়, কারোর হিম্মত নেই উপড়ে ফেলার, বার্তা গৌতমের
বাকি কলেজে ছাত্র ভোট করার এদিন দাবি জানায় এসএফআই। সৃজনের দাবি, চ্যালেঞ্জ শিক্ষামন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যজুড়ে প্রেসিডেন্সি যাদবপুরের মডেলে ভোট করানোর। ১০ দিনের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিলে এসএফআই এসে যাবে, টিএমসিপি ধসে যাবে, এবিভিপি উড়ে যাবে। এই জয় বুঝিয়ে দিল, বামপন্থীরা লড়াই করে এক ঢিলে দুই পাখি মারে। তারা হল টিএমসিপি এবং এবিভিপি।