SSC: চাকরি বাতিল থেকে বেতন ফেরতের নির্দেশ, রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কমিশন!
২৩ লক্ষ মোট চাকরি পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে ২৪,৬৪০ শূন্যপদে নিয়োগ এসএসসির। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্যপদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল।
অয়ন ঘোষাল: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এসএসসি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, "রায়ের কপি পেলেই মুভ করব। কী গ্রাউন্ডে অ্যাপিল সেটা পরে জানাব। মূল কারণ হল, এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সিবিআই তদন্ত চলেছে। ৫০০০ নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ সিবিআইয়ের। এগুলির নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ ছিল। বাকি প্রায় ১৯০০০-এর ব্যাপারে কী অভিযোগ? তাদের কেন চাকরি গেল? এখনও পরিষ্কার নয়। তাই রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা করছি। স্কুলে শুন্যতা কীভাবে পূরণ হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আমি আদালতের এই রায়ে অসন্তুষ্ট। রায়ের কপি হাতে পেয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে মুভ করব। ওএমআর শিটের পুনর্মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও গাইডলাইন নেই। ৩৫০ টির বেশি মামলা। ফলে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। নতুন নিয়োগ শুরু নিয়ে বা তার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। নিয়োগ করাই তো আমাদের কাজ। সরকার নির্দেশ দিলে প্রক্রিয়া শুরু করব। কিন্তু আদালত জানিয়েছে ফ্রেশ নিয়োগ নয়। ওএমআর পুনর্মূল্যায়ন। আমরা সিবিআইয়ের থেকে হার্ড ডিস্ক নিয়ে দেখব সেখানে কী কী পাওয়া যায়।"
এদিন এসএসসি মামলার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ৩৫০টি মামলার আবেদন। ২৮০ পাতার রায়ে ৩৭০টি প্যারাগ্রাফ রয়েছে। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে যে ওএমআর শিট নষ্ট করার আগে স্ক্যান কপি রাখা হয়নি। পুরো নিয়োগ বাতিল করা হল। তবে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যের কারা যুক্ত এই সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করায়, সেটা নিয়েও সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে। নির্দেশ হাইকোর্টের। বেআইনি নিয়োগ আটকাতেই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলেই আদালতের পর্যবেক্ষণ। ২৩ লক্ষ মোট চাকরি পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে ২৪,৬৪০ শূন্যপদে নিয়োগ এসএসসির। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্যপদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। আর সেটাই এবার হাইকোর্টের কড়া নজরে।
আগেই এসএসসি মামলায় প্রায় আট হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে সেই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বেঞ্চকে ছয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মাত্র তিন মাসেই শুনানি শেষ করে এবার রায় ঘোষণা করা হল বেঞ্চের তরফে। চাকরি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ৪ মাসের মধ্যে সুদ সমেত টাকা ফেরত পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: জঙ্গি টার্গেটে অভিষেক? বাড়িতে রেইকি, নম্বর জোগাড় মুম্বই হামলার চক্রীর!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)