উচ্চ শিক্ষার পাঠ্যক্রম কর্মসংস্থার বিমুখ, মত কমিশনের
রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পাঠ্যক্রম অধিকাংশক্ষেত্রেই কর্মসংস্থানমুখী নয়। এমনটাই পর্যবেক্ষন রাজ্যের শিক্ষা কমিশনের। কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা গড়ে তুলতে তাই সরকারকে পাঠ্যক্রম পরিবর্তনেরই পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।তবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌছোতে পারেনি কমিশন।
কলকাতা: রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পাঠ্যক্রম অধিকাংশক্ষেত্রেই কর্মসংস্থানমুখী নয়। এমনটাই পর্যবেক্ষন রাজ্যের শিক্ষা কমিশনের। কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা গড়ে তুলতে তাই সরকারকে পাঠ্যক্রম পরিবর্তনেরই পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।তবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌছোতে পারেনি কমিশন।
২০২০ -৩০ সালের উপযোগী করে শিক্ষার মান সাজাতে শিক্ষা কমিশন তৈরি করেছে সরকার। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুসন্ধান শেষে কমিশন তাদের খসড়া রিপোর্ট পেশ করল সরকারকে । খসড়া রিপোর্টের বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে যে সিলেবাস মেনে পড়ানো হয়,সেই সিলেবাসকে কর্মমুখী করার ওপরেই জোর দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। কমিশনের পর্যবেক্ষণ, বর্তমানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সিলেবাসে পড়ানো হয় সেই সিলেবাস অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময় উপযোগী নয়।
শুধু তাই নয় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুহুর্তে যে বিষয়গুলি পড়ানো হয় তারমধ্যেও সামঞ্জস্যের অভাব রয়েছে বলে রিপোর্টে জানিয়েছে কমিশন। রিপোর্টে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও একটু স্বাধীনভাবে কাজ করার সুপারিশ করা হয়েছে। শুধুতাই নয় শিক্ষকদের একচেটিয়া প্রাইভেট টিউশন নিয়েও রিপোর্টে সুপারিশ রয়েছে। প্রাইভেট টিউশন কমাতে স্কুল ছুটির পর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ক্লাস নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। এরজন্যে সামান্য সাম্মানিক দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কমিশনের পর্যবেক্ষণ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো শেষে অনেক ক্ষেত্রেই চাকরি পাচ্ছে না পড়ুয়ারা। তাই বেকারির সংখ্যাও বাড়ছে।
যদিও ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌছোতে পারেনি কমিশন। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রী,অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা গেছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু বা বন্ধ দু পক্ষেরই মত উঠে এসেছে সমানভাবে। কমিশন জানিয়েছে এনিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জেনে তবেই মতামত জানাবে তারা।