সারদা কেলেঙ্কারির প্রভাব এবার ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে
সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি। এবার কি দুই প্রতিবেশি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে চলেছে চিটফান্ডের প্রতারণা। এপর্যন্ত পাওয়া খবর, ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকেও আলোচনা হতে পারে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গ ও প্রতিবেশি রাজ্যগুলির আমানতকারীদের থেকে তোলা সারদার বিপুল পরিমাণ অর্থের এখনও খোঁজ মেলেনি। উধাও টাকার হদিশ পেতে ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁসে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরইমধ্যে কোনও কোনও মহল থেকে উঠছে, সারদা-জামাত যোগাযোগের খবর। অভিযোগ সীমান্ত পেরিয়ে সারদার টাকা পৌছেছে বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠন জামাতে ইসলামির হাতেও। সরকার বিরোধী আন্দোলনে সেই টাকা ব্যবহার করেছে জামাত। সেই টাকারই একটি অংশ বাংলাদেশ থেকে জামাত মারফত ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম এশিয়াতেও।
দোসরা ও তেসরা সেপ্টেম্বর ঢাকায় বৈঠকে বসছেন ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব। অনিল গোস্বামী ও মোজাম্মেল হক খানের সেই বৈঠকেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সারদা ইস্যু তোলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও দুদেশের পাচার হয়ে যাওয়া নারী ও শিশুদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনে সমঝোতা স্বাক্ষর হতে পারে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে।