নবাগতদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে পঠনপাঠন শিকেয় সুরেন্দ্রনাথ কলেজে
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্রপরিষদ পরিচালনার দায়িত্বে এবছর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মূলত সোমেন মিত্র অনুগামীরাই এই কলেজের ছাত্র সংসদের দায়িত্বে। কলেজের ছাত্র পরিষদ ও পরিচালন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে গত নভেম্বর থেকে পরিচয় পত্র দেখিয়ে কলেজে ঢোকার নিয়ম চালু হয়। গন্ডগোলের সূত্রপাত সেই সময় থেকে।
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্রপরিষদ পরিচালনার দায়িত্বে এবছর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মূলত সোমেন মিত্র অনুগামীরাই এই কলেজের ছাত্র সংসদের দায়িত্বে। কলেজের ছাত্র পরিষদ ও পরিচালন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে গত নভেম্বর থেকে পরিচয় পত্র দেখিয়ে কলেজে ঢোকার নিয়ম চালু হয়। গন্ডগোলের সূত্রপাত সেই সময় থেকে।
পরিচয়পত্র দেখিয়ে কলেজে ঢোকার যারা বিরোধিতা করে জানা যাচ্ছে তারাই শঙ্কুদেব পণ্ডার অনুগামী গোষ্ঠী। এই নিয়ে দুপক্ষে বিবাদও বাধে। ঘটনার কথা সেই সময় প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়, এমনকি শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও জানানো হয়। কিন্তু সেই সময় সতর্ক করা হয়নি তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডাকে। এরপর কিছুদিন চুপচাপ থাকে শঙ্কু গোষ্ঠী। কিন্তু কলেজে নতুন ছাত্রভর্তির সময় কাছে আসতেই জানুয়ারি মাস থেকে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইছে অনলাইনে ছাত্র ভর্তি করতে। কিন্তু বাধ সাধছে শঙ্কুদেব পন্ডার গোষ্ঠী। কারণ সেক্ষেত্রে তাদের প্রভাব খাটানোর সম্ভাবনা কম।
কলেজের নতুন ছাত্রছাত্রীদের ওপর কাদের কর্তৃত্ব থাকবে, এই নিয়েই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে এখন পড়াশোনা শিকেয়। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার পাশপাশি বৃহষ্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও ফের চিঠি দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরেও শঙ্কুদেব পন্ডা গোষ্ঠী বাগ মানেনি। তাতে অনেকেরই ধারণা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির পিছনে দলের কোনও বড়মাপের নেতার প্রশ্রয় রয়েছে।