শাহানুরকে জেরা করে মিলল চাঞ্চল্য কর তথ্য
দুহাজার বারোয় দেশজুড়ে উত্তরপূর্ব ভারতের মানুষের ওপর যে আক্রমণ হয়েছিল তারই ফলশ্রুতি অসমে জাতিসংঘর্ষ। এই সংঘর্ষের পুরো পরিকল্পনাই ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের। খাগড়াগড়কাণ্ডে অসম থেকে ধৃত শাহনুর আলম, রফিকুল ইসলাম ও সইফুল ইসলামও সামিল ছিল গোটা পরিকল্পনায়। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIAর। এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতেই এই তিনজনকে হেফাজতে নিতে চায় NIA র গোয়েন্দারা।
কলকাতা: দুহাজার বারোয় দেশজুড়ে উত্তরপূর্ব ভারতের মানুষের ওপর যে আক্রমণ হয়েছিল তারই ফলশ্রুতি অসমে জাতিসংঘর্ষ। এই সংঘর্ষের পুরো পরিকল্পনাই ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের। খাগড়াগড়কাণ্ডে অসম থেকে ধৃত শাহনুর আলম, রফিকুল ইসলাম ও সইফুল ইসলামও সামিল ছিল গোটা পরিকল্পনায়। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIAর। এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতেই এই তিনজনকে হেফাজতে নিতে চায় NIA র গোয়েন্দারা।
মায়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা চলছে এই সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক ছবি দেশজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল। যদিও এই ছবিগুলি জাল ছিল বলে দাবি NIAর। পরিকল্পিতভাবে ছবিগুলি ছড়ানোর পর পুণে, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, হায়দরাবাদের মত শহরে উত্তরভারপূর্ব ভারতের মানুষের ওপর শুরু হয় আক্রমণ। যার ফলে লক্ষাধিক মানুষ উত্তরপূর্ব ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হন।
এরই পাল্টা হিসাবে কার্যত পুনর্জন্ম হয় NDFB সংবিজিত গোষ্ঠীর। নামনি অসম জুড়ে সংখ্যালঘু মানুষের ওপর এই গোষ্ঠীর সদস্যরা আক্রমণ শুরু করে। জাতি সংঘর্ষের সময় প্রায় দুশো সত্তরটি ত্রাণ শিবির খোলা হয় উত্তরপূর্ব ভারতজুড়ে। পরবর্তীকালে এই ত্রাণশিবির গুলি থেকেই রিক্রুটমেন্ট শুরু করে বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনগুলি ।