Saayoni Ghosh: ইডিতে যাচ্ছেন না সায়নী, মেইলে পাঠালেন ৫৩০ পাতার নথি!
আজ ভোটের প্রচারে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে যাওয়ার কথা তৃণমূল যুব সভানেত্রী। হাতে গোনা আর কদিন বাদেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকাতেই আজ হাজিরা দিতে যেতে পারছেন না তিনি।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায় : আজ ইডি দফতরে যাচ্ছেন না সায়নী ঘোষ। ইতিমধ্য়েই মেইল করে ইডি দফতরে তাঁর আজ হাজিরা না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে যে নথি তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল, সেই নথি তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মোট ৫৩০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন সায়নী। আজ ভোটের প্রচারে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে যাওয়ার কথা তৃণমূল যুব সভানেত্রীর। হাতে গোনা আর কদিন বাদেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকাতেই আজ হাজিরা দিতে যেতে পারছেন না তিনি। মেইলে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তবে ভোট মিটে যাওয়ার পর, তদন্তের স্বার্থে তাঁকে যেকোনও সময় যেকোনও জায়গায় ডাকলে তিনি যাবেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি, আরও জানিয়েছেন, এই সময় তিনি ফোনে থাকবেন। তাঁকে ফোন করলে পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গতকাল পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও, শেষমেষ আর যাননি সায়নী ঘোষ। তৃণমূল সূত্রে খবর, সায়নী দলকে জানান যে, তাঁর মা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেই কারণেই তিনি আজ যেতে পারছেন না। অবশেষে আজ ফের তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগসূত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হাজিরার জন্য সায়নী ঘোষকে সমন পাঠায় ইডি। ইডি তাঁকে নোটিস পাঠানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পঞ্চায়েতের কর্মসূচিতে অংশ নিতে আর দেখা যায়নি সায়নী ঘোষকে।
গত শুক্রবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন সায়নী ঘোষ। সেদিন ইডি দফতরে ঢোকার মুখে সায়নী ঘোষ জানান, "আমি নির্বাচনী প্রচারে ছিলাম। ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমাকে সশরীরে হাজিরার কথা বলা হয়েছিল। তাই আমি সশরীরে এখানে উপস্থিত হয়েছে। আমার নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।" ইডির নজরে সায়নীর নামে গল্ফগ্রিনের দুটি ফ্ল্যাট। কারণ, ৮০ লক্ষ টাকা দামের ফ্ল্যাটের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে দাবি সায়নীর। বাকি ২০ লাখ টাকা সেভিংস ভেঙে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সায়নী। যদিও তদন্তকারীদের অনুমান বুকিং বাবদ যে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়, তা কুন্তলের থেকে পেয়েছিলেন তিনি। তবে তা অস্বীকার করেছেন সায়নী। তাঁর দাবি, বাকি ২০ লক্ষ টাকা তাঁর এবং পরিবারের জমানো টাকা থেকে দিয়েছিলেন।
এখন সায়নীর এই দাবি কতটা সত্য তা নিশ্চিত হতে ব্যাঙ্ক ঋণ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, কে ঋণ শোধ করছে, ব্যাঙ্কের ঋণ ছাড়া অন্য কারও ঋণ নিলে থাকলে তার প্রমাণ্য নথি, সেভিংস ভেঙে টাকা দিয়েছেন বলে যে দাবি করছেন সেই সংক্রান্ত সব নথি জমা দিতে বলা হয় সায়নী ঘোষকে। ৫ জুলাইয়ের মধ্যে সেই নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল। আজই ছিল ফের হাজিরার দিন। কিন্তু ৫৩০ পাতার নথি পাঠিয়ে দিলেও আজ ইডি দফতরে হাজিরা দিতে যাচ্ছেন না সায়নী। যদিও সায়নী আগে বলেছিলেন, '৫ জুলাই আবার যাব। সশরীরেই হাজিরা দেব। যতবার ডাকবে ততবার যাব। যারা চুরি করে তারা পালিয়ে বেড়ায়। আমি কেন পালিয়ে বেড়াব? ভোটের প্রচারের মুখে বার বার ডাকায় অসুবিধা তো হচ্ছে। কিন্তু কী করব?'