ডাকাত পুলিস
ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার হল খোদ কলকাতা পুলিসেরই এক অফিসার এবং কনস্টেবল। মানিকতলা থানার অফিসার সুনীল দাস ও কনস্টেবল সুরেশ ঝাঁ ধরা পড়েছেন ডাকাতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে। ধরা পড়েছে আরও চারজন। গত তিরিশে সেপ্টেম্বর উল্টোডাঙা ব্রিজের ওপর ভরদুপুরে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। লুঠ হয়েছিল চল্লিশ লক্ষ টাকারও বেশি।
ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার হল খোদ কলকাতা পুলিসেরই এক অফিসার এবং কনস্টেবল। মানিকতলা থানার অফিসার সুনীল দাস ও কনস্টেবল সুরেশ ঝাঁ ধরা পড়েছেন ডাকাতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে। ধরা পড়েছে আরও চারজন।
গত তিরিশে সেপ্টেম্বর উল্টোডাঙা ব্রিজের ওপর ভরদুপুরে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। লুঠ হয়েছিল চল্লিশ লক্ষ টাকারও বেশি। বেলা প্রায় একটা নাগাদ উল্টোডাঙার অরবিন্দ সেতুতে একটি বড় গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন চেন্নাইয়ের ব্যবসায়ী শাহুল হামিদ। সঙ্গে ছিলেন পঙ্কজ ওরফে মহম্মদ আমিন ও নিরঞ্জন নামের দুই ব্যক্তি। গাড়িটির পথ আঁটকে দাঁড়ায় একটি ট্যাক্সি। ট্যাক্সিটির সামনে সিটে ছিলেন মানিকতলা থানার কনস্টেবল সৌমেন ঝাঁ। পিছনের সিটের বাঁদিকে সুরেশ চন্দ্র ভৌমিক ও ডানদিকে সুনীল দাস।
ট্যাক্সি থেকে নেমে সৌমেন ও সুরেশ প্রথমে মারধর করে পঙ্কজকে। এরপর শাহুল হামিদের গাড়িতে রাখা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পঙ্কজকেও তুলে নিয়ে ট্যাক্সি চলে যায়।
ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী শাহুল হামিদ। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ বাদে তিনি মানিকতলা থানায় অভিযোগ জানান, ৪০ লক্ষ টাকার বেশি লুঠ হয়েছে। মানিকতলা থানা ও কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করে। ধরা পড়ে যায় ডাকাতিতে যুক্ত থাকা ছজন। যার মধ্যে রয়েছে মানিকতলা থানারই অফিসার সুনীল দাস ও কনস্টেবল সৌমেন ঝাঁ। এছাড়াও ধরা পড়ে স্বপন মাইতি, সুরেশচন্দ্র ভৌমিক, পঙ্কজ ওরফে মহম্মদ আমিন এবং শাজাহান গাজি।
ভর দুপুরে কলকাতার রাজপথে ডাকাত পুলিসের এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই লজ্জায় ফেলেছে কলকাতা পুলিসকে।