আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করছিলেন প্রভাবশালী চিকিৎসকরা! আরজি করের স্টুডেন্ট ফোরামের তরফে বড় অভিযোগ
স্টুডেন্টস ফোরামের তরফে হলফনামায় বলা হয়েছে, পাপেটের মত ব্যবহার করা হয়েছে স্টুডেন্ট ফোরামকে। নেপথ্যে রয়েছেন শান্তনু সেনের মত প্রভাবশালী প্রবীণ ডাক্তাররা।
অর্নবাংশু নিয়োগী: আরজি কর হাসপাতালের স্টুডেন্স ফোরামের হলফনামায় বড় অভিযোগ উঠল হাসপাতালেরই সিনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে৷ সম্প্রতি কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় আরজি কর হাসপাতালের স্টুডেন্ট ফোরাম। তার জন্য হাসপাতালে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই মর্মে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল।
স্টুডেন্টস ফোরামের তরফে হলফনামায় বলা হয়েছে, পাপেটের মত ব্যবহার করা হয়েছে স্টুডেন্ট ফোরামকে। নেপথ্যে রয়েছেন শান্তনু সেনের মত প্রভাবশালী প্রবীণ ডাক্তাররা। প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই, পড়ুয়ারা হাসপাতালে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই একই অভিযোগ করে। তখন যদিও শান্তনু সেনের বক্তব্য ছিল, পড়ুয়াদের চাপ দিয়ে এসব বলিয়ে নেওয়া ঠিক নয়।
সূত্রের খবর, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অনেকেই অকৃতকার্য হন। এমনকী ইন্টার্নদের ইন্টার্নশিপ কমপ্লিশন সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।আর এই সংশাপত্র ছাড়া এমবিবিএস ডিগ্রি পাবে না তাঁরা। যদিও এসব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ পড়ুয়ারা। তবে স্টুডেন্টসদের তরফে বলা হয়েছে যে তাদের উদ্দেশ্য ছিল দাবি দাওয়া নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা। কিন্তু কিছু সিনিয়র তারা ওই আন্দোলনকে আড়াল থেকে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছে। সিনিয়ররা তাদের 'ভুল পথে চালিত' করেছে।
অন্যদিকে ফোরামের তরফে জানান হয়েছে, তাদের আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক রঙ ছিল না। তারা কেবলমাত্র পরিস্থিতির শিকার। নেপথ্যে কিছু সিনিয়র ডাক্তার আছেন বলে অভিযোগ। এখানে শান্তনু সেন, ডাক্তার কৌশিক চাকি-সহ অনান্যদের নাম সামনে এসেছে। তারাই আড়াল থেকে এই ধর্মঘট নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে দাবি।
তবে এই অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়েছে স্টুডেন্ট ফোরাম। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টেও হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। স্টুডেন্ট ফোরামের আইনজীবী প্রিন্স বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "হলফনামা জমা পড়েছে। কীভাবে, কারা নেপথ্যে ছিলেন, সেখানে সবটা বলা হয়েছে।"
আরও পড়ুন, Park Circus Firing: পার্ক সার্কাস গুলিকাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের