কিডনি কাণ্ডে জড়িত কলকাতার কোন কোন নামজাদা হাসপাতাল ও চিকিত্সক?
কিডনি কাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিস। কলকাতার নামকরা তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল ও নামজাদা কয়েকজন চিকিত্সকের খোঁজ পেলেন তদন্তকারীরা। এদিকে, তদন্ত যখন এগোচ্ছে তখনই সরানো হল পুলিসকর্তাকে।
ওয়েব ডেস্ক : কিডনি কাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিস। কলকাতার নামকরা তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল ও নামজাদা কয়েকজন চিকিত্সকের খোঁজ পেলেন তদন্তকারীরা। এদিকে, তদন্ত যখন এগোচ্ছে তখনই সরানো হল পুলিসকর্তাকে।
কিডনি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর সূত্র
মূল পাণ্ডা ইতিমধ্যেই জালে। এবার হাতে আসছে ডালপালা। বুধবার বাগুইআটি থানায় যোগাযোগ করেন জ্যাংরা চৌমাথার দীপক কর। তিনি রাজকুমার রাওয়ের প্রাক্তন সহযোগী। পুলিসকে দীপক জানিয়েছেন, কিডনি ব্যবসায় ডোনার ধরাই ছিল তার কাজ। ডোনার পিছু দশ হাজার টাকা কমিশন পেতেন দীপক। ডোনারকে কলকাতায় এনে শারীরিক পরীক্ষা হত বেসরকারি হাসপাতালে। তিনটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে এই কাজ হত । বেশ কয়েকজন নামকরা চিকিত্সক ও চিকিত্সা কর্মী এই চক্রে জড়িত। কলকাতার এক স্বনামধন্য নেফ্রোলজিস্ট কিডনি চক্রে জড়িত। নিয়মিত চেন্নাইয়ে যাতায়াত ছিল ওই নেফ্রোলজিস্টের। কিডনি প্রতিস্থাপন হত কোয়েম্বাটোর ও দিল্লির হাসপাতালে।
অন্যদিকে, জাতীয় স্তরেও কিডনি কাণ্ডের তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে পুলিস। একইসঙ্গে কিডনি দাতা ও গ্রহিতার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বুধবার রাতে কানপুর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন রামপ্রকাশ নামে এক কিডনি দাতা। নাগপুরের বাসিন্দা এক মহিলাকে কিডনি বিক্রি করেছিলেন রামপ্রকাশ। একে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কারণ, এতদিন দাতাদের সঠিক পরিচয় জানা গেলেও গ্রহিতাদের ভুয়ো পরিচয়ই নথিভুক্ত হত। আইন বাঁচাতে দাতার বন্ধু সেজে বেনামে বহু বিদেশি ব্যক্তিও কিডনি কিনে নিয়ে গিয়েছেন।
রাজকুমার ধরা পড়ার পর দুদিনে অনেকটাই এগিয়েছে তদন্ত। তবে আর কতদূর তা এগোবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সাতটি আন্তঃরাজ্য তদন্তকারী দলের মাথা পুলিসকর্তা নিধিন বালসানকে। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির এসিপি বালসানকে সরানো হয়েছে আউটার ডিস্ট্রিক্টে।