লালবাতির বাড়াবাড়ি রুখতে নির্দেশিকা হাইকোর্টের
অনুমতি ছাড়াই গাড়িতে লালবাতির ব্যবহারে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪১৯ নম্বর ধারায় মামলা করা যাবে। তিনবছর পর্যন্ত সাজাও হতে পারে অভিযুক্তের। আজ এই মর্মে এক নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের অবৈধভাবে লালবাতি ব্যবহারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এরজন্য পুলিসের কোনওরকম অনুমতি লাগবে না বলেও জানিয়েছে আদালত।
অনুমতি ছাড়াই গাড়িতে লালবাতির ব্যবহারে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪১৯ নম্বর ধারায় মামলা করা যাবে। তিনবছর পর্যন্ত সাজাও হতে পারে অভিযুক্তের। আজ এই মর্মে এক নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের অবৈধভাবে লালবাতি ব্যবহারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এরজন্য পুলিসের কোনওরকম অনুমতি লাগবে না বলেও জানিয়েছে আদালত।
এ রাজ্যে লালবাতির অপব্যবহার রুখতে নজিরবিহীন উদ্যোগ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। লালবাতি ব্যবহার করে সারা দেশে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এমনকী সংসদে জঙ্গি হামলার মত ঘটনাও ঘটেছে লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে লালবাতির অপব্যবহার নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য বিভিন্ন সময় বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে ।
এই সংক্রান্ত একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বিচারপতি অসীম রায় এবং বিচারতি মুরারিপ্রসাদ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশিকায় বলা হয়, অবৈধভাবে লালবাতি ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধের জন্য ভারতীয় দন্ডবিধির চারশো উনিশ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা যাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এরজন্য তিনবছরের সাজাও হতে পারে। এতদিন পর্যন্ত অবৈধভাবে লালবাতি ব্যবহার করলে মোটর ভেহিকলস অ্যাক্টের একশো সাতাত্তর ধারায় মামলা করা যেত। জরিমানা হত দুশো টাকা। উচ্চপদের আধিকারিকদের অবৈধ লালবাতি ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিসের কোনওরকম অনুমতি লাগবে না বলেও জানিয়েছে আদালত। তবে এটি জামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে। আদালতের তরফে রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং কলকাতা পুলিসের সিপিকে বলা হয়েছে এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য।