Recruitmant Scam: কমিশনের লাখ লাখ টাকা মেরে দিয়েছেন কালীঘাটের কাকু, আদালত চত্বরে তুলকালাম পাওনাদারের
Recruitmant Scam: এদিন সুজয় কৃষ্ণের পক্ষে সওয়াল করতে উঠে আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, সুজয়কৃষ্ণের বয়সের কথা ভেবে, ইডির সঙ্গে ওঁর সহযোগিতার কথা ভেবে ওকে জামিন দেওয়া হোক। অন্যদিকে, ইডির আইনজীবী এডুলজি বলেন, এটি মানি ট্রেইলের একটি ক্লাসিক কেস। মোট ১০০ অ্য়াকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে
রণয় তেওয়ারি: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আজ ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তাকেও শুনতে হল চোর চোর স্লোগান। আদালতে ঢোকার মুখে তাঁকে ঘিরে চোর চোর, চিটিংবাজ স্লোগান দেন লেক গার্ডেন্সের বাসিন্দা দিলীপ কুমার ঘোষ। কে এই দিলীপ কুমার? তিনি আসলে পাওনাদার। জমির দালালির ১২ লাখ টাকা নাকি হজম করে নিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু।
আরও পড়ুন- কালীঘাটের কাকু’-র ট্রাস্টকে ৬ কোটির বাংলো! চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির
দিলীপ কুমার ঘোষের দাবি, বেহালার সিদ্ধিনাথ চ্যাটার্জি রোড একটি ৩৬ কাঠা এবং অন্য ২৬ কাঠা। ওই দুটি জমির বিক্রির জন্য মিডলম্য়ান হিসেবে কাজ করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। কমিশন হিসেবে রফা হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। পরে দর কষাকষি করে তা থামে ১২ লাখে। সেই টাকা দেননি সুজয়কৃষ্ণ। এমনকি কমিশনের টাকা হজম করে হুমকিও দিয়েছেন তিনি। সুজয় কৃষ্ণ নাকি বলেছেন, তিনি অভিষেকের লোক। বাড়াবাড়ি করিস না। বিষয়টি তিনি দিদিকে বলো-তে বলেছেন। সিবিআই-ইডিকেও বলেছেন। কোনও কাজ হয়নি। আদালত চত্বরে এদিন বহুক্ষণ অপেক্ষা করেন দিলীপবাবু। পরে সুজয়কৃষ্ণকে আনা হতেই তিনি নথিপত্র হাতে চিত্কার শুরু করে দেন।
এদিকে, এদিন সুজয় কৃষ্ণের পক্ষে সওয়াল করতে উঠে আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, সুজয়কৃষ্ণের বয়সের কথা ভেবে, ইডির সঙ্গে ওঁর সহযোগিতার কথা ভেবে ওকে জামিন দেওয়া হোক। অন্যদিকে, ইডির আইনজীবী এডুলজি বলেন, এটি মানি ট্রেইলের একটি ক্লাসিক কেস। মোট ১০০ অ্য়াকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এখানে হাওয়ালার মাধ্যমে বিপুল টাকা কীভাবে ৪টি কোম্পানিতে গিয়েছে সেটা এখন দেখার। ওই ৪টি কোম্পানি হল মেসার্স ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড, মের্সাস অ্যাচিভ প্রাইভেট লিমিটেড, মেসার্স এসজি কনসালটেন্সি ও মের্সাস নয়নিকা এন্টারপ্রাইজেস। মোট ১০ কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে ঢুকেছে মেসার্স ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেডে। সেই টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে রিয়েল এস্টেটে। নয়নিকা এন্টারপ্রাইজেসের মাধ্য়মে ১ কোটি টাকা নগদ লেনদেন হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে ৮০ কাঠা জমি কেনা হয়েছে বাংলার বন্ধু নামে একটি ট্রাস্টের জন্য।
এদিন আদালতে হাজির করানোর আগে সুজয়কৃষ্ণকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই তিনি অনেক কথা বলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য কি তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে? সুজয়কৃষ্ণ বলেন, না সাহেবের নাম বলার জন্য কোনও চাপ দেওয়া হচ্ছে না। তবে তাঁর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষকে জেরা করে বেরিয়ে এসেছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। সেই কুন্তলই দাবি করে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তার উপরে চাপ দিচ্ছে তদন্তাকরীরা। কুন্তলের এই মন্তব্য নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মন্ডল নামে এক ব্যক্তি দাবি করেন কুন্তল তাকে বলেছিলেন কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।