শহরের প্রাণকেন্দ্রে হদিশ মিলল বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামালে ঠাসা গুদামের, স্ট্র্যান্ড রোডের গুদাম থেকে উদ্ধার কয়েকশো কেজি কাঁচামাল

শহরের  প্রাণকেন্দ্রেই বিস্ফোরক তৈরির  কাঁচামালে ঠাসা গুদামের  হদিস। স্ট্র্যান্ড রোডের গুদামে গোয়েন্দা পুলিসের  আচমকা হানায়  বিস্ফোরকের কয়েকশো কেজি মশলা উদ্ধার। এই মশলায় কী ধরণের বিস্ফোরক  তৈরি হত? কোথায় পাচার হত সেসব? নেপথ্যে কি জঙ্গি যোগ?  উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে সিআইডি।বস্তা বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। কেজি কেজি সালফার। আচমকা হানায় গোয়েন্দাদের চোখ কপালে। খাস কলকাতাতেই বিস্ফোরকের কাঁচামালের পাহাড়!

Updated By: Aug 16, 2015, 11:13 PM IST
শহরের প্রাণকেন্দ্রে হদিশ মিলল বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামালে ঠাসা গুদামের, স্ট্র্যান্ড রোডের গুদাম থেকে উদ্ধার কয়েকশো কেজি কাঁচামাল
photo for represtational purpose only

ব্যুরো: শহরের  প্রাণকেন্দ্রেই বিস্ফোরক তৈরির  কাঁচামালে ঠাসা গুদামের  হদিস। স্ট্র্যান্ড রোডের গুদামে গোয়েন্দা পুলিসের  আচমকা হানায়  বিস্ফোরকের কয়েকশো কেজি মশলা উদ্ধার। এই মশলায় কী ধরণের বিস্ফোরক  তৈরি হত? কোথায় পাচার হত সেসব? নেপথ্যে কি জঙ্গি যোগ?  উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে সিআইডি।বস্তা বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। কেজি কেজি সালফার। আচমকা হানায় গোয়েন্দাদের চোখ কপালে। খাস কলকাতাতেই বিস্ফোরকের কাঁচামালের পাহাড়!

রবিবার ভরদুপুরেই শহর তোলপাড়। কিন্তু পুলিসের নথি বলছে, চক্রান্তের উত্‍স মুর্শিদাবাদে।

৮ অগাস্ট, ২০১৫, । রঘুনাথগঞ্জ। হঠাত্‍ তল্লাসিতে সত্তর কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিস। ধরা পড়ে দুই দুষ্কৃতী আখতারুল ও রবিউল শেখ। তাদের জেরা করেই পঙ্কজ গোধাইয়ের হদিস পায় পুলিস।

১৪ অগাস্ট, ২০১৫। জোড়াবাগান থানা এলাকায় পুলিসের জালে ধরা পড়ে পঙ্কজ গোধাই।

কে এই পঙ্কজ?

পঙ্কজ গোধাইয়ের বাড়ি ওড়িশার কটকে। পোস্তায় জয়দুর্গা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিতে ছবছর ধরে ম্যানেজার পদে কর্মরত

কোম্পানির মালিক সুশান্ত পারিয়ার বাড়িও কটকে। পঙ্কজকে জেরা করতেই গোয়েন্দাদের চক্ষু চড়কগাছ।

এ একে বারে যত কাণ্ড পোস্তায়। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে পঙ্কজ। তারই জেরে রবিবার তল্লাসি শুরু হয় পোস্তায়।  ওম ভবনের গুদামঘরে হানা দিতেই মেলে বিস্ফোরক তৈরির  কাঁচামাল। উদ্ধার হয়েছে,

৫২৫ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট

৪২৩ কেজি সালফার

২০০ কেজি সালফার জাতীয় রাসায়নিক

৩২ কেজি অ্যালুমিনিয়াম পেস্ট

এসব দিয়ে ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরক তৈরি হত, খতিয়ে দেখছে পুলিস

মালিকের দেখা মিলত না। বকলমে পঙ্কজই ছিল গুদামের সর্বেসর্বা।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওড়িশা থেকে আসত বিস্ফোরক তৈরির ওইসব কাঁচামাল। কলকাতা ছুঁয়ে সেই মাল যেত মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে সেসব  নিয়মিত পাচার হত ।

 

.