লাগাম পড়েনি সিন্ডিকেটে
রাজারহাটে সিন্ডিকেট ব্যবসার জাল কতটা বিস্তৃত, তা কিছুদিন আগেই বাগুইআটিতে স্বপন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্বপন মণ্ডল খুনের পর কেটে গেছে বেশ কয়েক মাস। কিন্তু বদলায়নি রাজারহাট। এখনও রাজনৈতিক মদতে রমরমিয়ে চলছে সিন্ডিকেট-রাজ। এই নিয়ে ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট। সিন্ডিকেটের দাপট, তৃতীয় পর্ব।
রাজারহাটে সিন্ডিকেট ব্যবসার জাল কতটা বিস্তৃত, তা কিছুদিন আগেই বাগুইআটিতে স্বপন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্বপন মণ্ডল খুনের পর কেটে গেছে বেশ কয়েক মাস। কিন্তু বদলায়নি রাজারহাট। এখনও রাজনৈতিক মদতে রমরমিয়ে চলছে সিন্ডিকেট-রাজ। এই নিয়ে ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট। সিন্ডিকেটের দাপট, তৃতীয় পর্ব।
ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১২৬টি নির্মাণ সংস্থার প্রজেক্ট চলছে রাজারহাট-নিউটাউন জুড়ে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে সিন্ডিকেটের জুলুমবাজি। সাধারণ প্রোমোটার কিংবা বহুজাতিক সংস্থা। সিন্ডিকেটের দাদাদের থেকে ছাড় পান না কেউই। একালায় আবাসন বানাতে গেলে ইট, বালি, স্টোন চিপস থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী। সবই বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে স্থানীয় সিন্ডিকেট থেকেই। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এমনটাই দস্তুর রাজারহাটের। সিন্ডিকেটের দাদাগিরির জেরে বেশি পয়সা দিয়ে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী কিনতে বাধ্য হচ্ছেন প্রোমোটাররা। পরিমানেও চলছে কারচুপি। প্রতিবাদ করলেই বিপদ।
রাজারহাট-নিউটাউনের বিভিন্ন মৌজায় সক্রিয় আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট। জোতভীম মৌজায় সিন্ডিকেটের দাদা দিনু এবং দীপঙ্কর। ঠাকুরদাঁড়ির সিন্ডিকেটের দাদা ভজাই, জুম্মান ও বটু। ঢালিপাড়ায় সিন্ডিকেটের মাথা তাপস এবং সুদীপ। মহিষগোট মৌজার দায়িত্বে আছে গৌর মণ্ডল এবং রাজীব দাস। অট্টাদেওয়ান মৌজা সামলায় তিন পাণ্ডা। বেনু মণ্ডল, বাপন নস্কর ও চিরন প্রামানিক। যাত্রাগাছি এলাকায় সিন্ডিকেটের দাদা মদন নস্কর। কোচপুকুর মৌজায় সিন্ডিকেট পাণ্ডা সাবুর আলি।
প্রোমোটারদের অভিযোগ, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই গায়ের জোরে সিন্ডিকেটের জুলুম চালাচ্ছেন এই সব স্থানীয় দাদারা। তারা রেয়াত করে না কাউকেই। রীতিমতো সিন্ডিকেটের নামে প্যাড ছাপিয়ে চলছে কারবার। রাজারহাটের মহিষগোট ঢালিপাড়ার এরকমই একটি সিন্ডিকেট আবির্ভাব এন্টারপ্রাইজ। রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই রীতিমতো সক্রিয় এই সিন্ডিকেটটি। রাজনৈতিক পালাবদলের আগে সিন্ডিকেটটির নাম অবশ্য ছিল অন্য। সেসময় পরিবর্তন এন্টারপ্রাইজ নাম দিয়ে চলত কারবার। এমনকী মা মাটি মানুষ নাম দিয়েও চালু হয়েছিল সিন্ডিকেট। এই জুলুমবাজির বিরুদ্ধে একাধিকবার পুলিস প্রসাশনের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজারহাটের প্রেমোটাররা। অভিযোগ গেছে জেলার পুলিস সুপারের কাছে। অভিযোগ জমা পড়েছে হিডকো চেয়ারম্যানের দফতরেরও। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতোই রাজনৈতিক মদতে রমরমিয়ে রাজারহাটেও চলছে সিন্ডিকেট রাজ।