আমলারা যেন মনে রাখেন, মুখ্যমন্ত্রী চিরকাল থাকবেন না, হুঁশিয়ারি রাহুল সিনহার
মঙ্গলবার ধামাখালিতে জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও জেলা সভাধিপতিদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল।
অঞ্জন রায়: মুখ্যমন্ত্রী চিরকাল থাকবেন না। রাজ্যপালের বৈঠকে গরহাজির আমলাদের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার সজনেখালি ও ধামাখালিতে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু দুটি বৈঠকে আসেননি আমলারা। এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ধনখড়।
মঙ্গলবার ধামাখালিতে জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও জেলা সভাধিপতিদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া বৈঠকে যাওয়ার সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক। অসুস্থতার কারণে বৈঠকে আসেননি তিনিও। আরে এতে চটে যান রাজ্যপাল। প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল কি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ? রাজ্যপাল বৈঠক করতে চাইলে সরকারের অনুমতি কেন লাগবে? রাজ্যপালের সঙ্গে প্রশাসনের সংঘাত নিয়ে আমলাদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাহুল সিনহা। বিজেপির জাতীয় সম্পাদকের কথায়,''মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যপালের বৈঠকে যাননি আমলারা। আমলারা যেন মনে রাখেন, মুখ্যমন্ত্রী চিরকাল থাকবেন না। কিন্তু, সরকার থাকবে । রাজ্যপাল রাজ্যের কল্যাণে জন্য বৈঠক ডেকে ছিলেন। এতে গেলে কোন ক্ষতি হতো না।''
শিলিগুড়িতে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাংলায় কোনওভাবে এনআরসি চালু হতে দেবেন না। সেই প্রসঙ্গে রাহুলবাবু বলেন,''কিসানগঞ্জ থেকে কেউ এসে ভোটার হবে না। বাংলাদেশ থেকে লোক এসে ভোটার হচ্ছে। আর সেটা করছে মুখ্যমন্ত্রীর দল। এজন্য তো এনআরসি দরকার। মুখ্যমন্ত্রী যে দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষকে কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন, তা এবার বাস্তব হবে। সেই কাজ করবে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শীতকালে সংসদে বিল আসছে।''
বলে রাখি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে আটকে পড়া বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তখন থেকে শুরু সংঘাত। তখন রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য সরকার। জিয়াগঞ্জে খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। বলেছিলেন,''তদন্তের গতিপ্রকৃতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট হচ্ছে।'' এরপর দুর্গাপুজোর কার্নিভালে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলে দু'দিন পর অভিযোগ করেন ধনখড়। এবার প্রশাসনিক বৈঠকে নিয়ে সংঘাত উঠল চরমে। কার্নিভালের প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন জগদীপ ধনখড়। বলেছেন, "সবাই জানে ১১ তারিখ কার পাবলিসিটি হয়েছিল ৪ ঘণ্টা ধরে।"
আরও পড়ুন- 'পশ্চিমবঙ্গে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না', শিলিগুড়িতে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর