জেল ভরো আন্দোলনে যোগ দিয়ে গ্রেফতার বরণ বিমান বসুর

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নানা শ্রমিক বিরোধী নীতির প্রতিবাদে ১১টি বাম ও গণতান্ত্রিক শ্রমিক সংগঠনের 'জেল ভরো' আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হল রাজ্য। শ্রমিকদের নানা দাবিদাওয়ার সমর্থনে পথে নেমে এদিন কলকাতায় গ্রেফতার বরণ করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু।

Updated By: Nov 8, 2011, 10:05 AM IST

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নানা শ্রমিক বিরোধী নীতির প্রতিবাদে ১১টি বাম ও গণতান্ত্রিক শ্রমিক সংগঠনের 'জেল ভরো' আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হল রাজ্য। শ্রমিকদের নানা দাবিদাওয়ার সমর্থনে পথে নেমে এদিন কলকাতায় গ্রেফতার বরণ করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এদিনের জেল ভরো আন্দোলনে আশাতীত সাড়া মিলেছে। এদিন কলকাতায় 'জেল ভরো' উপলক্ষ্যে মূল কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ধর্মতলার রানি রাসমনি রোডে। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে মূল দুটি মিছিল শুরু হয়। শিয়ালদহ  থেকে মিছিল মৌলালি, এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে পৌঁছয় রানি রাসমনি রোডে। হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে অন্য মিছিলটি ব্রেবোর্ন রোড হয়ে রানি রাসমনি রোডে আসে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকেও একটি মিছিল আসে ধর্মতলায়।
কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আজ জেল ভরো কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি সহ ৬ দফা ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছে ১১টি শ্রমিক সংগঠন। পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া এবং বাঁকুড়ায় ভালই সাড়া পড়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে জেল ভরো কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন কয়লা শ্রমিকরা। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরে পালিত হয়েছে কর্মসূচি। বাঁকুড়া জেলাতেও আন্দোলনে অংশ নিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন ৬০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী। সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের ডাকে দেশব্যাপী জেলভরো কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মিলল দিল্লিতেও। আজ সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ যন্তরমন্তর থেকে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানা পর্যন্ত মিছিল আসে। কর্মসূচিতে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির পাশাপাশি সামিল হয় কংগ্রেস ও বিজেপির শ্রমিক সংগঠনগুলিও। গ্রেফতার বরণ করেন গুরুদাস দাশগুপ্ত, তপন সেন, জি সঞ্জীব রেড্ডির মত শ্রমিক নেতারা। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২৫ নভেম্বর সাধারণ ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন গুরুদাস দাশগুপ্ত। শ্রমিক নেতাদের দাবি, গোটা দেশে সিটু, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি-সহ ১১টি সংগঠনের ২৫ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন মঙ্গলবারের এই কর্মসূচিতে।

.