রাজ্যের প্রস্তাবিত দীর্ঘতম ফ্লাইওভার নিয়ে মহাজট
আবারও এক ফ্লাইওভার জট। রাজ্যের প্রস্তাবিত দীর্ঘতম ফ্লাইওভার। বাইপাস টু রাজারহাট, এক রাস্তায় আনতে উদ্যোগী রাজ্য। সল্টলেককে বাইপাস করেই, ছকে ফেলা হয়েছে প্ল্যান। কিন্তু বাধ সাধছে এর মাঝে পড়ে যাওয়া জলাভূমি। মিলছে না কেন্দ্রের অনুমতি। কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের মাঝে, ঝুলে রয়েছে ফ্লাইওভারের ভবিষ্যত।
ওয়েব ডেস্ক: আবারও এক ফ্লাইওভার জট। রাজ্যের প্রস্তাবিত দীর্ঘতম ফ্লাইওভার। বাইপাস টু রাজারহাট, এক রাস্তায় আনতে উদ্যোগী রাজ্য। সল্টলেককে বাইপাস করেই, ছকে ফেলা হয়েছে প্ল্যান। কিন্তু বাধ সাধছে এর মাঝে পড়ে যাওয়া জলাভূমি। মিলছে না কেন্দ্রের অনুমতি। কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের মাঝে, ঝুলে রয়েছে ফ্লাইওভারের ভবিষ্যত।
ফের ফ্লাইওভার জট
যানজট..হর্ন
বাইপাস ধরে এয়ারপোর্ট যাচ্ছেন? রাজারহাটে কোনও কাজ আছে? চিংড়িঘাটা হয়ে নিকো পার্ক, নবদিগন্ত ফ্লাইওভার পেরিয়ে গন্তব্যে পৌছনই পথ। কিন্তু সে পথে ট্রাফিক জ্যামে পড়তে হয়নি, এমন কেউ আছেন কি!
সমাধানের রাস্তা বের করতে এক নতুন উড়ালপুল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য। নতুন পথে গেলে, পরমা উড়ালপুল থেকে প্রথমেই বাইপাসে নামতে হবে। সেখান থেকে কিছুটা এগিয়ে আইটিসি সোনার বাংলা পেরিয়ে সোজা রাস্তার ওপার দিয়ে উঠবে উড়ালপুল। এরপর ধাপা জয়হিন্দ প্রকল্প হয়ে নলবন ভেড়ি, মহিষবাথান দিয়ে এগিয়ে এক্কেবারে সোজা উড়ালপুলটি গিয়ে পৌছবে রাজারহাটে। সেখানে তা মিলবে বিশ্ব বাংলা সরণীতে। পুরো ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে সাত কিলোমিটার। যা রাজ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ।
রাজ্যের আশা, একবার এই ফ্লাইওভার তৈরি হয়ে গেলে রাজারহাটই হোক বা এয়ারপোর্ট, পৌছনর ঝক্কি একধাক্কায় অনেটকাই কমে যাবে। কিন্তু জট বেধেছে এই ফ্লাইওভারের যাত্রাপথ নিয়ে। এর মাঝে অনেকটাই জায়গা জুড়ে রয়েছে জলাভূমি, ভেড়ি। আর এখানেই আপত্তি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের। বছর দেড়েক ধরে কেন্দ্রে ঝুলে রয়েছে ফ্লাইওভারের প্রস্তাব। জলাভূমি, ভেড়ির ওপর দিয়ে ফ্লাইওভারের পিলার তৈরি করলে ক্ষতি হবে পরিবেশের। আশঙ্কা পরিবেশ মন্ত্রকের। যদিও রাজ্য সরকারের বক্তব্য, জলাভূমি ভরাট করা হবে না। শুধু কিছু পিলার গাঁথা হবে। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রকের দাবি, সেই পিলার তৈরি করতেও জলের নিচে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাতে হবে। তাতে ক্ষতি হবে জলাভূমির।