শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা অমর্ত্য সেনের

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করলেন অমর্ত্য সেন। আজ প্রেসিডেন্সিতে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে ডি লিট দেওয়া হয়। সেই সময়ই নোবেলজয়ী অর্থনীতীবিদ বলেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে নেহাতই এক সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ভাবলে চলবে না। প্রেসিডেন্সিতে সরকারি সাহায্য দরকার। কিন্তু সরকারি  নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই ।

Updated By: Jan 20, 2016, 08:59 PM IST
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা অমর্ত্য সেনের

ওয়েব ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করলেন অমর্ত্য সেন। আজ প্রেসিডেন্সিতে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে ডি লিট দেওয়া হয়। সেই সময়ই নোবেলজয়ী অর্থনীতীবিদ বলেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে নেহাতই এক সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ভাবলে চলবে না। প্রেসিডেন্সিতে সরকারি সাহায্য দরকার। কিন্তু সরকারি  নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই ।

সরকার অর্থ দেয় আর তাই সরকার নিয়ন্ত্রন করবে- এই বিতর্ক গত কয়েক মাসে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বারবারই জোরদার হয়েছে।  প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুদান দিতে মুখ্যমন্ত্রীর আসা এবং তাঁর সামনে চেক হাতে নিয়ে উপাচার্যের নতজানু হওয়া। এই ছবি সেই বিতর্ককে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল আর্থিক অনুদান ঘোষণা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কি সত্যিই প্রয়োজন আছে?  সেই বিতর্কই উস্কে দিয়ে স্বাধিকারের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী    নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় বুধবার তাকে ডিলিট দিয়ে সম্মানিত করে। সেখানেই নোবেলজয়ী খোলামেলা সওয়াল করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার নিয়ে।

সরকারের সঙ্গে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আগেই সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সরকার বন্দনায় নাম জড়িয়েছে খোদ উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানেই নোবেলজয়ী বললেন, অন্ধ আনুগত্য নয়, যুক্তি দিয়েই কাজ করা উচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। অমর্ত্য সেনের মন্তব্য নি:সন্দেহে নতুন মাত্রা যোগ করল স্বাধিকার ইস্যুতে। আর সেই মাত্রা যে উপাচার্যের বিড়ম্বনা বাড়াল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

.