SSC Scam: প্রাথমিকে চাকরি বাতিলের সংখ্যা কমবে কয়েক হাজার, কীভাবে এমন বিভ্রাট!

SSC Scam: প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয় ২০১৬ সালে। চাকরি পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি ও ইন্টারভিউয়ের নিময় মানা হয়নি। এমনকী, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, অ্যাপটিচিউড টেস্ট না নিয়েই নাকি ইচ্ছামতো নম্বর দেওয়া হয়েছে তাঁদের!

Updated By: May 14, 2023, 11:00 PM IST
SSC Scam: প্রাথমিকে চাকরি বাতিলের সংখ্যা কমবে কয়েক হাজার, কীভাবে এমন বিভ্রাট!

অর্নবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এখন এনিয়ে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, চাকরি হারানো শিক্ষকের সংখ্য়া কমবে বেশ খানিকটা।

আরও পড়ুন-প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য....

জানা যাচ্ছে বাতিল হওয়া চাকরির সংখ্যা হবে ২৭ হাজার ৪১৫ জনের। চাকরি বাতিলের সংখ্যা কমবে ৮,৫৮৫। টাইপের ভুলে এমন বিভ্রান্তি হতে পারে বলে দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। ওই বিভ্রান্তি কাটাতে সোমবার হাইকোর্টে যাচ্ছেন মামলাকারীরা। এনিয় মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্য়োতি তিওয়ারি বলেন, একটা টাইপে ভুল হয়েছে। বিষয়টি আগামিকাল আদালতে উল্লেখ করা হবে। কারণ সত্যটা আদালতে বলা উচিত। প্যানেলে ১২,৪৪৩ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন। প্রশিক্ষণহীন ছিলেন ৩০,১৮৫ জন। এদের মধ্যে প্রশিক্ষণহীন প্যারাটিচার ছিলেন ২৭৭০। তাহলে সংখ্য়াটা হবে ২৭,৪১৫ জন। অর্থাত্ বাতিল চাকরির সংখ্যা ৩৬ হাজার থেকে কমে ২৭,৪১৫ হওয়া উচিত। সওয়াল করার সময়ে ৩২ হাজারের আসেপাশে বলেছিলাম। হয়তো টাইপ করার সময় একটা ভুল হয়েছে। আদামিকাল এটা আদালতে জানানো হবে। 

উল্লেখ্য, প্রাইমারি টেটে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয় ২০১৬ সালে। চাকরি পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি ও ইন্টারভিউয়ের নিময় মানা হয়নি। এমনকী, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, অ্যাপটিচিউড টেস্ট না নিয়েই নাকি ইচ্ছামতো নম্বর দেওয়া হয়েছে তাঁদের!

কেন এই বেনিয়ম? মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন মামলা রায় ঘোষণা করলেন তিনি। বাতিল হয়ে গেল ৩৬ হাজার চাকরি! আদালতের পর্যবেক্ষণ, '২০১৪ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের নেপথ্যে দুর্নীতিতে রয়েছেন তৎকালীন বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সরকার মনে করলে মানিক ভট্টাচার্যর থেকে টাকা নিয়ে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করবে'। 

হাইকোর্টের এই রায় যে রাজ্য সরকার মানছেন না, সাংবাদিক সম্মেলন করে সেকথা জানিয়ে দেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'যদি কোনও জেদাজেদির বিষয় হয়, বা টেকনিক্যাল কোনও কারণে, যদি এরকম হয়, এতজন মানুষ আছেন, তাঁরা যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে নেন, তাহলে তো সমস্যা মিটে যেতে পারে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দফতর, সংশিষ্ট বিভাগ আইনি পথে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার, নেবে'।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.