দুদফায় পঞ্চায়েত ভোটে অনড় রাজ্য, ফের চিঠি কমিশনকে
দুদফায় পঞ্চায়েত ভোট করার সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য ফের এব্যাপারে চিঠি দিচ্ছে কমিশনকে। শুক্রবার বিধানসভায় একথা জানান পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিবর্তে ভিন রাজ্যের পুলিস এনে পঞ্চায়েত ভোট করার কথাও বলেন তিনি। অন্যদিকে কমিশনও তিন দফায় ভোট করার সিদ্ধান্তে অনড়। এই পরিস্থিতিতে সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের নিয়ে আজ বৈঠকে বসছে কমিশন।
দুদফায় পঞ্চায়েত ভোট করার সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য ফের এব্যাপারে চিঠি দিচ্ছে কমিশনকে। শুক্রবার বিধানসভায় একথা জানান পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিবর্তে ভিন রাজ্যের পুলিস এনে পঞ্চায়েত ভোট করার কথাও বলেন তিনি। অন্যদিকে কমিশনও তিন দফায় ভোট করার সিদ্ধান্তে অনড়। এই পরিস্থিতিতে সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের নিয়ে আজ বৈঠকে বসছে কমিশন।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কমিশনের সঙ্গে সংঘাতের পথেই রাজ্য সরকার। দুদফায় পঞ্চায়েত ভোট চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছে পঞ্চায়েত দফতর। শুক্রবার বিধানসভায় একথা জানান পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, প্রতিবেশী রাজ্য থেকে পুলিসকর্মী এনে ভোট করা হোক। সূত্রের খবর এই পরিস্থিতিতে শনিবার ফের ১৭টি জেলার জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারদের বৈঠকে ডেকেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সকাল এগারোটা থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির ডিএম এবং এসপিদের সঙ্গে এবং বেলা একটা থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ডিএম এবং এসপিদের বৈঠক হওযার কথা। এর আগে জানুয়ারি মাসে একইভাবে ১৭টি জেলার ডিএম এবং এসপিদের বৈঠকে ডেকেছিল কমিশন। বৈঠকে সব জেলার ডিএম এবং এসপিরা তিন দফায় পঞ্চায়েত ভোট করার পক্ষে মত দেন। এমনকি অনেকে পাঁচ দফায় ভোটের কথাও বলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, শাসক বা বিরোধী দল নয়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমস্যা হিসাবে দেখা দিতে পারে।
একই কারণে তাঁরা ভোটে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথাও বলেন। ওই আলোচনার ভিত্তিতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন আটশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে তিন দফায় পঞ্চায়েত ভোটের কথা বলে।
এরপর গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কদফায় ভোট এনিয়ে রাজ্য সরকার এবং কমিশনের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। সূত্রের খবর রাজ্য সরকার যে দুদফায় ভোটের প্রস্তাবে অনড়, বিষয়টি অনুমান করেই শনিবার ফের ডিএম এসপিদের বৈঠকে ডেকেছে কমিশন। বিশেষ করে জঙ্গলমহলের তিন জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে কমিশনের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রতিক কালে কী ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, তারও খবর নিচ্ছেন কমিশনের আধিকারিকরা। এসবের জেরে শনিবার কমিশনের ডাকা বৈঠকে ডিএম, এসপিদের মতামত পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।