যুবক খুন ও আবাসনে হামলা, জোড়া অপরাধের তদন্তে নাজেহাল পুলিস
মার্সিডিজের চালক আবাসনের বাসিন্দাই নন। দাবি ফোর্ড ওয়েসিসের বাসিন্দাদের। এলাকাবাসীর দাবি, ওই আবাসন থেকেই বেড়িয়েছিল ওই মার্সিডিজ। যুবক খুন ও আবাসনে হামলা। জোড়া অপরাধের তদন্তে নাজেহাল পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: মার্সিডিজের চালক আবাসনের বাসিন্দাই নন। দাবি ফোর্ড ওয়েসিসের বাসিন্দাদের। এলাকাবাসীর দাবি, ওই আবাসন থেকেই বেড়িয়েছিল ওই মার্সিডিজ। যুবক খুন ও আবাসনে হামলা। জোড়া অপরাধের তদন্তে নাজেহাল পুলিস।
দামি গাড়ির ওপর আছড়ে পড়েছে পুঞ্জীভূত জনরোষ। যেন বহুদিনের জমে থাকা ক্ষোভে বহিঃপ্রকাশ। এর সবই অমূলক। এমনই দাবি আবাসনের বাসিন্দাদের। তাই কি? নিহত অভিজিত পাণ্ডের প্রতিবেশীরা বলছেন অন্য কথা। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মেনটেনেন্স রসিদ। তাতে নাম লেখা রয়েছে, সন্তোষ রানি গুপ্তার। পুলিস কিছুই করেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন কলকাতায় ফের গতির বলি, পণ্ডিতিয়া প্লেসে যুবকে পিষে দিল উদ্ধত মার্সিডিজ
রসিদ হাতে পাওয়ার পরে নিজেরাই আবাসনে খোঁজ নিতে যান এলাকাবাসী। অভিযোগ, দুর্ব্যবহার করে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আবাসনের বাসিন্দা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারও পাশে দাঁড়াননি। অভিযোগ এলাকাবাসীর। দেবাশিস কুমারের পাল্টা দাবি, ওই গাড়ি তাঁদের আবাসনের নয়। এমনকি যাতায়াতও ছিল না। গাড়িটি তবে কার? ইতিমধ্যেই মালিকের খোঁজ পেয়েছে পুলিস।
আরও পড়ুন এক হেলিকপ্টার আর তিন প্রিয় ক্রিকেটার
ঘাতক মার্সিডিজের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে AJC বোস রোডের লিটিল টাই আপ প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। মালিক সুদর্শন মাহেশ্বরী। খাতায় কলমে গাড়ির মালিক ঢাকুড়িয়ার বাসিন্দা। তবে গাড়িটির যে ওই আবাসনে যাতায়াত ছিল তা তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস। দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আবাসনে ভাঙচুর। দুটি ঘটনাতেই প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। কী করে এমন অভিজাত আবাসনে অবাধে তাণ্ডব চালাল জনতা? দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরেও ঘাতককে কেন গ্রেফতারের চেষ্টা করল না পুলিস? প্রশ্ন উঠছে দুদিক থেকেই।