প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে দু'বার হাসপাতালের 'না' শুনেছেন, গড়িয়াহাটে অটোতেই সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি

রাস্তার ধারে  অটোর মধ্যেই পুত্রসন্তান প্রসব করতে হল তাঁকে। তাদের সর্বতোভাবে সাহায্য করল কলকাতা পুলিস। ওই মহিলা ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। করোনা আবহে আরও একবার প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারবার নির্দেশের পরও এই ধরনের ঘটনা প্রশ্ন তুলছে।

Reported By: রণয় তেওয়ারি | Updated By: Apr 29, 2020, 03:47 PM IST
প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে দু'বার হাসপাতালের 'না' শুনেছেন, গড়িয়াহাটে অটোতেই সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি

নিজস্ব সংবাদদাতা: একই হাসপাতালে দু-দু'বার করে যাওয়া- 'না' শুনে ফিরে আসা! 'এবার হয়তো ভর্তি নেবে' তৃতীয়বার ফের এই আশা নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা প্রসূতির রওনা দেওয়া- কিন্তু  গন্তব্যে পৌঁঁছতে না পেরে রাস্তার ধারে  অটোর মধ্যেই পুত্রসন্তান প্রসব করা। বুধবার সকালে গড়িয়াহাট মোড়ের এই ঘটনা ফের একবার প্রশ্ন তুলল হাসপাতালগুলির ভূমিকা নিয়ে। করোনা আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারবার নির্দেশের পরও এই ধরনের ঘটনা সত্যিই নিন্দনীয়।
কসবার বাসিন্দা সর্বানি সর্দার মঙ্গলবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাজরার শিশু সদন হাসপাতালে যান। সেখানেই তিনি কার্ড করেছিলেন। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সেসময় তাঁকে ভর্তি নিতে চাননি। তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। রাতে আরও বেশি কঠিন হয় পরিস্থিতি। প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারায় ভোর চারটে নাগাদ সর্বানিকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, সেসময়ও তাঁকে চার ঘণ্টা হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়। প্রাথমিকভাবে দেখার পর তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়।

টিকিয়াপাড়া শান্তিপূর্ণ এলাকা, পুলিসের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছে, বলছে রাজ্য
পরিবারের অভিযোগ, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবারই বলেছিল, এই পরিস্থিতিতে এখন ভর্তি নেওয়া যাবে না।" বাধ্য হয়েই সর্বানিকে ফের বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়।
এরপর ব্যথা সহ্য করতে না পারায় আরও একবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এবার রাস্তাতেই অটোর মধ্যে সন্তান প্রসব করেন সর্বানি। পরিবারের সদস্যরা ১০০ ডায়াল করে লালবাজারে ফোন করেন।  লালবাজারের তরফে গড়িয়াহাট থানার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর পুলিস গিয়ে মা ও সন্তানকে নার্সিংহোমে ভর্তি করায়।
হাজরার শিশু সদন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, "করোনা পরিস্থিতিতে প্রচুর চাপ রয়েছে। চিকিত্সকও কম। তাই প্রসূতিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।" প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা।  তাদের সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে কলকাতা পুলিস। ওই মহিলা ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে নার্সিংহোমে ভর্তি করান পুলিসকর্মীরা। জানা গিয়েছে, মা ও সন্তান দুজনেই ভালো রয়েছে।

.